ইসমাইল ইমন॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আওয়ামী সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতারা বলছেন খেলার কথা। আমরা বলি রাজনীতি আর খেলা এক নয়। আমরা সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করি। খেলা করি না। বিগত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আমরা সেই গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করছি। সরকারের শত বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ সফল করে সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। তাই শেখ হাসিনাকে সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। ভোট হতে হবে ব্যালটের মাধ্যমে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।
তিনি মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিএনপির এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সহ গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও ঢাকায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যা, হামলা মামলা, গ্রেফতার ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বিএনপি’র ১০ ডিসেম্বরের গণ সমাবেশকে বানচাল করার জন্য পুলিশ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নারকীয় হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস সহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মকবুল হোসেনকে পুলিশের গুলিতে হত্যা করে আরো শত শত আহত করেছে। দলীয় কার্যালয়ের সকল সম্পদ পুলিশ নিয়ে গেছে। পুরো কার্যালয় তছনছ করে গেছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর বিজয়ের মাসে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর এ ধরনের জুলুম নির্যাতন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকেও হার মানিয়েছে। আমরা আশা করি, সরকার এদেশের গণমানুষের ভাষা বোঝে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নচেৎ জনগণের রোষানলে পড়ে চরম মূল্য দিতে বাধ্য হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন।
আলহাজ্ব এম এ আজিজের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলাদলের জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিকদলের শম জামাল উদ্দিন, তাহের আহম্মেদ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ছগির, ইসমাইল বালী, হাজী মো. ইলিয়াছ, আলাউদ্দিন আলী নুর, কাজী শামসুল আলম, জাহিদ মাষ্টার, মন্জুর আলম মন্জু, মো. সেকান্দর, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, হুমায়ুন কবির সোহেল, দিদারুর রহমান লাভু, এড, এফ এ সেলিম, মোশারফ জামাল, হাজী মো. মহসিন, রাসেল পারভেজ সুজন, আজম উদ্দিন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, হাজী এমরান উদ্দীন, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, সাদেকুর রহমান রিপন, ফরিদুল আলম চৌধুরী, নাসিম আহম্মেদ, আশরাফ খান, সৈয়দ আবুল বশর, হাজী আবু ফয়েজ, হাসান ওসমান চৌধুরী, জসিম মিয়া, মনজুর মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, এস এম আজাদ, মনজুর কাদের, কামরুল ইসলাম, ফিরোজ খান প্রমুখ।