
রিয়াজ রহমান:
কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানায় মোঃ জিতু মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১১জনের নাম উল্লেখ পূর্বক মামলা দায়ের করেন উপ সহকারী ইউনিয়ন কর্মকর্তা। ।
মামলার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের দিঘলবাক এলাকায় কুশিয়ারা নদী থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দিঘলবাক (আটঘর) গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের পুত্র জিতু মিয়া, সুন্দর খানের পুত্র রুহুল আমীন, মৃত নূর উদ্দিনের পুত্র মজিবুর রহমান ও পূর্ব কাতিয়া গ্রামের হাছন আলীর পুত্র আবদুর রহমান জুয়েল এর নেতৃত্বে মামলায় উল্লেখিত সকল বিবাদী অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছিলেন। এমন সংবাদ পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে পৌছিলে বালু উত্তোলনকারীরা ড্রেজার মেশিন নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে বালু উত্তোলনের স্থান থেকে মেশিনের ৫টি হেন্ডেল ও ১টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। মামলার বাদি ইউনিয়ন ভূমি অফিস দাওরাই বাজার ক্যাম্প উপ-সহকারী কর্মকর্তা রহুল আমিন জানান, দীর্ঘ দিন যাবত বিবাদীরা অবৈধভাবে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল। এতে করে নদী ভাঙন, জলজ প্রাণী, নদী ভূ-পরিবেশ ও উদ্ভিদ বিনষ্ট হচ্ছে। এসব অপরাধে আমি থানায় মামলা দায়ের করি। মামলা নং১০ তারিখ ১১/০২/২০২৫ইং।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০এর ১৫ ধারা মোতাবেক ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। আসামি ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।