ক্রাইম ডেস্ক॥ ফটিকছড়িতে ০৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণকারী আসামী খাজা মিয়া(৬০)’কে মামলা রুজুর ০২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
র্যাব মারফত জানা যায়, ভুক্তভোগী ভিকটিম ০৬ বছর বয়সের এবং চট্টগ্রাম জেলার ফঢিকছড়ি থানাধীন গোয়াছ ফটির এলাকায় তার মায়ের সাথে বসবাস করত। আসামী খাজা মিয়া (৬০) ভিকটিমদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকত। গত ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে দুপুর আনুমানিক ১২০০ ঘটিকায় ভিকটিম তাদের বসতঘরের সামনে খেলা করছিল। এসময় খাজা মিয়া তরমুজ খাওয়ানোর কথা বলে ভিকটিমকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম ঘরে প্রবেশ করলে খাজা মিয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং শিশু ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের চিৎকার শুনে তার মা দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসলে ধর্ষক খাজা মিয়া দরজা খুলে পালিয়ে যায়। ভিকটিমের মা আসার পর ভিকটিম কান্নাকাটি করতে করতে তার মাকে ধর্ষণের কথা খুলে বলে।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হতে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ০৩ তাং ০৫ এপ্রিল ২০২৩; ধারা-৯(৪)(খ)নারী ও শিশু নির্যাতন ও দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভুক্তভোগী নাবালিকা ভিকটিমের বিষয়টি মানবিকতার সাথে গ্রহণ করতঃ বর্ণিত ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ০৫ এপ্রিল ২০২৩খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ০৪৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন গোয়াছ ফটির এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মামলা রুজুর ০২ ঘন্টার মধ্যে উক্ত ধর্ষণ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী খাজা মিয়া (৬০), পিতা-মৃত রজব আলী, সাং-গোয়াছ, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত নাবালিকা ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা অকপটে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।