
সবুজ মিয়া, রংপুর ব্যুরো :
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের আওতায় ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। “জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই” স্লোগানে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে তিস্তা নদীর ১১টি পয়েন্টে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেয়। ১১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা নদীর তীরে এই আন্দোলন চলবে এবং এখানে সঙ্গীত, রান্না ও মশাল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর তিস্তা সেতু এলাকায় শত শত মানুষ অবস্থান নিয়ে নিজেদের দাবি তুলে ধরেছেন। আন্দোলনকারীরা তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, নদী রক্ষা এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে একত্রিত হয়েছেন। একই কর্মসূচিতে বিকেলে কাউনিয়া পয়েন্টে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান, তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক জানিয়েছেন যে, আন্দোলনকারীরা দীর্ঘদিনের দাবি তিস্তা নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন চান। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা তিস্তার করুণ পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে চান।
গঙ্গাচড়ার লক্ষীটারী ইউনিয়নের মহিপুরে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজনে উপস্থিত থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “শেখ হাসিনার ১৫ বছরে দেশ এক শ্মশানে পরিণত হয়েছে। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বিএনপি সহ অন্যান্য দল সক্রিয় হয়ে উঠেছে।” তিনি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নদীর পানি বন্টনে ভারতকে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
একই মঞ্চে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে তিস্তা নদীর পানি আটকে রেখেছে। আমাদের দাবি, আন্তর্জাতিক ফোরামে এই বিষয়টি তুলে ধরতে হবে।” তিনি বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য জনগণের ঐক্যকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীরা অংশগ্রহণ করেছেন এবং তারা এককাট্টা হয়ে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে এক হয়ে কাজ করছেন।