আবু সুফিয়ান পারভেজ, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধি : পরিবারের কাউকে না যানিয়ে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া তিন সহপাঠী বাড়ি থেকে সবার অজান্তেই ২৮ হাজার টাকা নিয়ে বেড়িয়ে পরে স্বপ্নপুরনের উদ্দেশ্যে। তাদের কে সম্ভব্য স্থানে খোঁজ করে সন্ধান না পেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে জিডি করে থানায়।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের (১৬ নভেম্বর) বেলদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়া ফরহাদ হোসেন, মিম খাতুন ও তানিয়া খাতুন বাড়ি থেকে তারা নিখোঁজ হয়। এর প্রেক্ষিতে নিখোঁজ ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের লোকজন ভূরুঙ্গামারী থানায় তিনটি পৃথক পৃথক সাধারন ডাইরী (জিডি) করেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৬ নভেম্বর বেলদহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্র ফরহাদ হোসেন,মিম খাতুন এবং তানিয়া খাতুন পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে নিখোঁজ হয়। এর প্রেক্ষিতে নিখোঁজ ছাত্র-ছাত্রীদের অবিভাবকরা ভূরুঙ্গামারী থানায় এসে তিনটি পৃথক পৃথক সাধারন ডাইরী করেন।
নিখোঁজ স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের হারানোর বিষয়ে জিডির প্রেক্ষিতে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। তৎক্ষণাৎ ভিকটিমগণের পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন সহ বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান কার্যক্রম কালে তথ্য প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় ১৮ নভেম্বর কক্সবাজার সদর মডেল থানাধীন ডলফিন মোর এলাকায় অবস্থানের বিষয় জানতে পারলে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম কক্সবাজার সদর থানা এর অন্তরগত ডলফিন মোড় এলাকায় রওনা করেন। গত ১৯/১৮/২০২৩ তারিখে কক্সবাজার পৌঁছে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের সহায়তায় ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ভিকটিমগণকে সুস্থ শরীরে কক্সবাজার হতে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে ভিকটিমদের জিজ্ঞেসাবাদে জানা যায়-তানিয়ার দীর্ঘদীনের শখ সে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যাবে। কিন্তু তার বয়স কম হওয়ায় তার সহপাঠি মোঃ ফরহাদ হোসেন এবং মোছা: মিম খাতুন এর শরনাপন্ন হন। পরবর্তীতে তারা তিন সহপাঠি মিলে প্লান করে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে পরিবারের প্রায় ২৮হাজার টাকা গোপনে হস্তগত করে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করে।
পরবর্তীতে ২০ নভেম্বর ভিকটিমগণকে উদ্ধারপূর্বক থানায় পৌঁছে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এর উপস্থিতিতে এবং নারী ও শিশু অফিসারের সহায়তায় ভিকটিমগণকে তাদের নিজ নিজ অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়।
ওসি রুহুল আমিন বলেন, তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নারী ও শিশু অফিসারের সহায়তায় তাদের নিজ নিজ অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।