বিশেষ প্রতিনিধি॥ কক্সবাজার জেলায় পেকুয়া উপজেলায় নুর হাসপাতাল একটি নামকরা হাসপাতাল।নুর হাসপাতালে মালিক ডাক্তার মুজিবুর রহমান পেকুয়া উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক মেডিকেল অফিসার। নুর হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় নুর ডেন্টাল কেয়ার নামে একটি ভুয়া দাঁতের চেম্বার রয়েছে। এ চেম্বারের মালিক শফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, শফিকুল ইসলাম ২০০৯ সালে পেকুয়া উপজেলায় শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে এসএসসি পাশ করে। তিনি পাশ করা বিডিএস ডাক্তার নন। শফিকুল ইসলাম একজন টেকনোলজিস্ট। অথচ তার প্রচারণায় নামের আগে ডেন্টিস্ট এবং নামের পরে বিএসসি ডেন্টাল (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়), এমপিএইচ (প্রিভেন্টভ ডেন্টিষ্ট্রী) ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল টেকনোলজি (ঢাকা), এফটি (ঢাকা মেডিকেল কলেজ) সহ হরক রকম ডিক্রি উল্লেখ করেন। যার ফলে সাধারণ মানুষ পাশ করা ডাক্তারই মনে করেন। এসব ডিগ্রি গুলো দাঁতের চিকিৎসার জন্য অনুমোদিত কোন ডিক্রি নয়। তার কাছে বিএমডিসি কোন নিবন্ধন পর্যন্ত নাই।
অথচ শফিকুল ইসলাম দাঁতের সকল ধরণের অস্ত্রপচার করেন। যার ফলে সাধারণ মানুষ প্রতারণা ও অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছে। একজন টেকনিশিয়ানের কাজ হল একজন বিডিএস ডাক্তারকে সহযোগিতা করা। টেকনিশিয়ান চিকিৎসা দেওয়ার কোন নিয়ম নাই। তিনি তার ডিক্রি গুলোতে চালাকি করে ভুয়া তথ্য প্রদান করেছেন। তার প্যাডে ব্যবহারিত ডিক্রি গুলোতে বিএসসি ডেন্টাল নামে কোন ডিক্রি নাই, আছে বিএসসি মেডিকেল টেকনোলজি ডেন্টাল নামে ডিগ্রি। এখানে সে টেকনোলজি শব্দটি গোপন করেছে। এমপিএইচ ডিক্রি এখন অর্জন করে নাই বলে তথ্য পাওয়া গেছে, আর এফটি কোন ডিক্রি নই।
অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসছে শফিকুল ইসলাম ২০০৯ সালে বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে এসএসসি পাস করার পর চেম্বার দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসতেছে। তিনি বিএসসি মেডিকেল টেকনোলজি ডেন্টাল পাশ করেছে ২০২২ সালে। কিন্তু তার প্যাডে ব্যবহার করতেছে ২০১০ সাল থেকে। আবার বিভিন্ন প্রচারণায় ডাক্তার পদবী ও ব্যবহার করে থাকেন তিনি।কয়েকদিন আগে প্রশাসনের ভ্র্যামমান অভিযানেও ধরা ছোঁয়ার বাহির রয়ে গেছে আলোচিত শফিকুল ইসলাম।
অপরদিকে তার স্ত্রীর নাম জামিলা সিদ্দিকা মরজান। জামিলা সিদ্দিকা মরজান মহিলা চিকিৎসক হয়ে রোগিদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। তিনিও তার স্বামীর মত একই ডিগ্রি ব্যবহার করেছেন প্যাড সহ বিভিন্ন ব্যানার পোস্টারের প্রচারণায়। গত কয়েক দিন আগে একজন বিডিএস ডাক্তারকে চেম্বারে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার নাম হল ডাক্তার নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলামের প্যাডে ব্যবহারিত বিএমডিসি নাম্বার হল ১২৪২১। অথচ উক্ত নাম্বার বিএমডিসির ওয়েবসাইটে চেক করা হলে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
শফিকুল ইসলামের ব্যাপারে নুর হাসপাতালের মালিক মুজিবুর রহমানের সাথে কয়েক বার যোগাযোগ করা হলে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য প্রদান করেন এবং সবশেষে বলেন শফিকুল ইসলামের চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি না থাকায় ওনি বর্তমানে বিডিএস ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছেন। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,”শফিকুল ইসলাম কোন সনদধারী ডাক্তার নয় বলেন স্বীকার করেন”
সচেতন মহলের দাবী,স্বাস্থ্য ব্যবস্হার এমন অবস্হা হলে সাধারণ মানুষ অপচিকিৎসা ও প্রতারণার শিকার হবে ও বর্তমানে হচ্ছে ।এসব প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে চাই ও এসব অপরাধ বন্ধের জোর দাবী জানায়।