মহিবউল্লাহ কিরন, বরগুনা: বরগুনায় রাতভর ভারী বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে শহরের দোকানপাট তুলনামূলকভাবে কম খোলা দেখা গেছে।
পায়রা নদী বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নদীর তীরবর্তী স্থানে অবস্থান নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলমান বৃষ্টিপাত ধান, শাকসবজি ও অন্যান্য ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । বিশেষ করে সদ্য রোপণ করা আমন ধানের চারা পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, এভাবে টানা বৃস্টি হতে থাকলে আমন ধানের চারা সহ চলতি মাসেই কৃষকের ঘরে উঠবে বি আর ১১,২৮ ও আউশধান সেগুলোও পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্না দেখা দিয়েছে।
নদী-নালা ও খাল-বিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী উপজেলার কিছু কিছু স্থানে মাছের ঘের সমপরিমাণ পানি জমে গেছে বলে জানা গেছে। এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয় জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা না থাকায় আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ভারী বর্ষণের প্রভাবে বরগুনার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কৃষকের আমন ফসলের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই আগাম আমন ফসল পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।




















