
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রংপুরের হরিদেবপুর ইউনিয়নের বাইশের দোলায় বিলের মাছ কিনতে গিয়ে ছামিরুল নামে এক গাড়ি ব্যবসায়ীকে মারামারি মামলায় আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। একজন নিরিহ ব্যবসায়ীকে মামলায় জড়ানোর ঘটনায় তাই রংপুর সদর কোতয়ালী থানার সঠিক তদন্ত নিয়ে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন! এলাকার সচেতন মহল সঠিক তদন্তপূর্বক মামলা থেকে ছামিরুলের নাম বাদ দিতে রংপুর পুলিশ সুপারসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা যায়, রংপুর সদর উপজেলার দক্ষিন মমিনপুর ইউনিয়নের বানিয়া পাড়ার আছের উদ্দিন এর ছেলে পুরনো গাড়ি ব্যবসায়ী ছামিরুল ইসলাম গত ৭ মার্চ ২০২৫ ইং শুক্রবার বাদ জুম্মা একই উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের সিন্ডার মোড় ফকিরপাড়া এলাকার জনৈক সাংবাদিক আলাউদ্দিনের মালিকানাধীন ভুট্টা মাড়াই মেশিন ক্রয় করার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে যান। সেখানে মেশিন দেখে কথাবার্তা বলে বিকেল চারটার সময় বাড়ি ফেরার পথে বাইশার দোলায় পুকুরে মাছ মারা দেখে ক্রয়ের উদ্দেশ্যে সেখানে দাঁড়ান এবং দুই কেজি মাছ ক্রয় করেন। এ সময় হঠাৎ সেখানে পুকুরের ভাগিয়ারি রুবেল হোসেনে’র সাথে বাইশা পাড়া গুচ্ছগ্রামের জান্নাত ফেরদৌসের পুরনো লেনদেন নিয়ে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এরই জের ধরে জান্নাত ফেরদৌসের শাশুড়ি হাজরা বেগম বাদী হয়ে ৯ (নয়) জনকে বিবাদী করে রংপুর সদর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং জি আর ২২/২৫। ওই মামলায় মাছ কিনতে যাওয়া গাড়ি ব্যবসায়ী ছামিউল ইসলামকেও ৫ নম্বর আসামি করেন। যা নিয়ে এলাকায় বেশ আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
রংপুর সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক আলাউদ্দিন জানান, বিকাল তিনটায় সামিরুল ভাই আমার এক সহকর্মী সাংবাদিক শফিউল মন্ডল কে সাথে নিয়ে আমার ভুট্টা মাড়াই মেশিন কেনার উদ্দেশ্যে দেখতে এসেছিলেন। পরে কথা বলে বিকেল ৪টার সময় আমার কাছে বিলের যাওয়া পথ দেখে চলে যান তারা।
সামিরুলের সাথে আসা সাংবাদিক শফিউল মন্ডল জানান,ছামিরুল বিভিন্ন পুরনো গাড়ি ক্রয়- বিক্রয় করেন। তাকে নিয়ে ফকিরপাড়ায় আমার সহকর্মী সাংবাদিক আলাউদ্দিন ভাইয়ের বাড়িতে যাই ভুট্টা মাড়াই মেশিন দেখতে। পরে কথাবার্তা বলে বাড়ি ফেরার পথে বাইসার দোলায় মাছমারা দেখে আমরা দুজনে সেখানে দাঁড়াই। এসময় মাছও ক্রয় করি। এমন সময় সেখানে রুবেল নামে একজনের সাথে জান্নাত ফেরদৌস ও তার পরিবারের লোকজনের ঝগড়া বিবাদ ও মারামারি শুরু হয়। পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।
ভুক্তভোগী ছামিরুল জানান,আমার সাথে ওই মারামারির কোন সম্পর্ক নাই। আমি বাড়ি ফেরার পথে মাছ কেনার জন্য ওখানে দাঁড়াই এবং দুই কেজি মাছ ক্রয় করি। অথচ এ মারামারি সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও আমাকে আসামি করা হলো, আমি এর সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই। ছামিরুল ইসলামকে আসামি করার বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মামুন জানান, মামলায় কোন নিরীহ, নির্দশি ব্যক্তিকে আসামি করা হলে তদন্তে সংশ্লিষ্টা না থাকলে চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে।