মোঃ হৃদয় ইসলাম॥ স্কুল ছাত্র সাইফুল খুনের মামলার আসামীগণ জামিনে মুক্তি পেয়ে নিহত সাইফুল এর মাতা বাদী রহিমা ও তাঁর স্বামী জাকারিয়াকে মারধর করে আহত করে।
জানা গেছে, আজ শুক্রবার (২৫ নভেম্বর ২০২২) তারিখ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের ৬নং ইশ্বরদিয়া ইউনিয়নের চর লক্ষীপুর মধ্যপাড়া স্কুল ছাত্র সাইফুল হত্যার দের বছর যেতে না যেতেই আবরো মারামারি।
জমি, জমির সীমানা ও ১টি সুপারি গাছ কাঁটার জের ধরে দীর্ঘ দের বছর আগে খুন হয় স্কুল ছাত্র সাইফুল। সেই জমির বিরোধ নিয়ে আবারো মারামারিতে আহত স্কুল ছাত্র সাইফুল এর মা’ রহিমা ও তাঁর পিতা জাকারিয়া।
এরই মাঝে জানা যায় আজ দুপুরে নিহত স্কুল ছাত্র সাইফুলের বাড়িতে অনাধিকারে প্রবেশ করে নজরুল ও সুমনগং প্রায় ২০/২৫ জন দা, লোহার রড, বটি, চাপাতি, রামদা, বল্লম, খন্তি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। নিহত সাইফুল এর বড় ভাই ও ছোট ভাই সহ তার চাচাগন দৌরে পালিয়ে যায়।
এদিকে নিহত সাইফুল এর মা রহিমা ও পিতা জাকারিয়া পালাতে পারেনি। তাদের পেয়ে মারধর করে। পরে নিহত সাইফুল এর পিতা জাকারিয়া ও তার মাতা রহিমাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। মা রহিমা চিকিৎসা পর ছুটি পায়। কিন্তু পিতা জাকারিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়। উক্ত বিরোধকৃত জমিতে নতুন করে ঘর নির্মাণ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সাইফুল খুনের আসামীগণ।
স্কুল ছাত্র সাইফুল এর মা’ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। স্কুল ছাত্র সাইফুল এর মা’ বাদী রহিমা বলেন, যে জমির কারণে আমার ছেলেকে খাইলো, এখন সেই জমিই আমার পুরো পরিবারকে খেয়ে ছাড়বো। আমি কি করবো, কোথায় যাবো। আমাকে আপনারা সাহায্য করেন। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
এ ঘটনায় আজ ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করে নিহত স্কুল ছাত্র সাইফুলের মা রহিমা। পরে কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই রিফাত তদন্ত আসে। সুষ্ঠু তদন্তের পর দুপক্ষেকে নতুন করে অঘটন না ঘটাতে শান্ত পরিবেশে থাকতে বলেন।
আগামীদিন এ বিষয়ে দু’পক্ষের সমাধানের লক্ষে কাজ করে দিবে বলে আস্বস্ত করেন। নতুন করে অঘটন ঘটলে আইনি ব্যবস্থাও নিবেন বলে জানিয়ে দেন।