নিজস্ব প্রতিবেদক॥ কবিরাজী, তুকতাক, হোমিওপ্যাথি, এলোপ্যাথির মাধ্যমে সর্বরোগের চিকিৎসা দিয়ে অপচিকিৎসা করে আসছেন যশোরের অভয়নগর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের জিয়াডাঙ্গা বাজারের ভুয়া ডাঃ আব্দুল আজিজ। নেই কোন ডাক্তারি সনদ, নিজ বাসার সামনে বোরহান উদ্দিন মেডিকেল হল খুলে নিজ নামে লিখে রেখেছেন আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ।
বাংলাদেশ সকাল এর প্রতিবেদক আঃ আজিজ এর কাছে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য সরকারীভাবে যে সনদের প্রয়োজন হয় তা দেখতে চাইলে দেখাতে পারেন নি। তিনি বলেন, আমি প্রাথমিক চিকিৎসার উপর শিক্ষা নিয়েছি (সনদ দেখাতে ব্যর্থ)। আপনি প্রাথমিক চিকিৎসার উপর শিক্ষা গ্রহণ করে নামের পাশে ডাক্তার লিখতে পারেন কিনা ও সর্ব রোগের চিকিৎসা দিতে পারেন কিনা জানতে চাইলে সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি এ ভুয়া ডাক্তার আঃ আজিজ।
একপর্যায়ে ভুয়া চিকিৎসক আঃ আজিজ স্বীকার করেন আমি ডাক্তারি বই পড়ে সেখানে যা লেখা আছে সেই ভিত্তিতে চিকিৎসা দিই।
আঃ আজিজ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে দীর্ঘ দিন অপচিকিৎসা করে যাচ্ছেন। তিনি হোমিও চিকিৎসার পাশাপাশি দেন এলোপ্যাথি চিকিৎসা। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ব্যাথার ঔষধ কেটোরোলাক ও ডাইক্লোফেনাকের ও দেখা মেলে আঃ আজিজ এর চেম্বারে।
আঃ আজিজকে আবার অনেকে চেনেন জ্বীনের বাদশা হিসেবে, করেন তুকতাক ও কবিরাজি। গ্রামের মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন অপচিকিৎসা দিয়ে আসা বেপররোয়া আঃ আজিজ শোনেন না কার ও কথা। নিষেধ করলেই উল্টো ভয় দেখান প্রশাসনের, এমনটাই বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা।
প্রতিবেদনকালে জিয়াডাঙ্গা বাজারে দেখা হয় সাবেক স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুস সাত্তারের। তিনি বলেন, উনাকে নিষেধ করলেও শোনেন না, থানার ওসি মহোদয় পর্যন্ত এগুলো বন্ধ করতে দু’বার তলব করেছেন তারপর ও উনি থামেননি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভুয়া ডাক্তার আঃ আজিজ এর খুঁটির জোর কোথায়? কিভাবে তার অপচিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ? তার অপচিকিৎসা কি বন্ধ হবেনা?
জানতে চোখ রাখুন আগামী পর্বে….