ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধি :নীলফামারীর ডোমারে সেবা হাসপাতালে আজ বুধবার সকালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক প্রসুতির মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন প্রসুতির স্বজনরা। দেড়
লাখ টাকায় রফাদফা করতে বাধ্য হন স্বজনরা বলে জানান তারা।
সরেজমিনে জানা গেছে, প্রসুতির মা মিনু রানী ও স্বজনরা জানান, গত সোমবার আমরা প্রসুতি চন্দনা রানীর(১৯) পানি ভেংগে যায় ও বাচ্চা হওয়ার জন্য ব্যথা শুরু হয়। এ সমস্যা নিয়ে রোগী কে সেবা হাসপাতালে ভর্তি করি। সিজার করলেই হবে, প্রসুতির অন্য কোন সমস্যা নেই বলে জানান ডাক্তার আইনুল।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিকাল তিনটায় প্রসুতিকে সিজার করা হয়। এ সময় রক্তপাত হতে থাকে ,বিছানা ভিজে যায়। আমরা ডাক্তার কে বলি, হয় রক্তপাত বন্ধ করেন না হয় রোগী কে রেফার্ড করেন, আমরা রংপুরে নিয়ে যাব ।ওরা রোগীকে রিলিজ করেনি। সকাল পাঁচটায় বলে আপনারা রোগীকে রংপুরে নিয়ে যান। আমরা দেখি রোগী ততক্ষণে মারা গেছে ।আমরা বার বার বলার পড়েও রোগীকে রংপুর নিতে দেয়নি। ওরা ইচ্ছাকৃত রোগিকে মেরে ফেলেছে। আমরা বিচার চাই। ওরা জোরপূর্বক মিমাংসার কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়েছে। দুই একজন ছাড়া সবাই ওদের পক্ষে ছিল। আমাদের দেড় লাখ টাকা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের মধ্য সুন্দর খাতা গ্রামের জগনাৎ চন্দ্রের মেয়ে চন্দনা রানী। তার স্বামীর বাড়ী একই উপজেলার ডিমলা বাজার সংলগ্ন (বাবুরহাট)দীনেশচন্দ্রর পুত্র দিপক চন্দ্রর(৩০)সাথে বিয়ে হয় প্রায় দশ বছর আগে ।
তাদের তৃপ্ত চন্দ্র (৮)নামে এক পুত্র রয়েছে। সিজার করে আবারও এক পুত্র জন্ম দেয়। শিশুটি সুস্থ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা রায়হান বারি বলেন, আমরা অভিযোগ পাইনি, শুনেছি। কোন সংবাদ মাধ্যমে খবরটা প্রকাশ হলে, আমরা স্বপ্রনোদিত হয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে, তা তদন্ত করব।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মো আরিফুল ইসলাম জানান, কোন অভিযোগ পাইনি। তবে জিডি মুলে লাশ দিয়ে দিয়েছি।
সেবা হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সার্জন ডা: আইনুল হককে (০১৭৫৮১২৩৪৪৫) মোবাইল করলে তার শিশু পুত্র বলেন,ঘুমায়ে গেছে। তিনি ফোন ধরেননি।




















