মোঃ ফিরোজ আহমেদ,পাইকগাছা :
খুলনা জেলা পরিষদের মালিকানাধীন পাইকগাছা পৌরসভার মধুমিতা পার্কের সকল অবৈধ স্থাপনা মহামান্য হাইকোটের আদেশে উচ্ছেদ হলেও অদৃশ্য কারনে উচ্ছেদ হয়নি আওয়ামিলীগ কার্যালয়। পার্কটিকে নেয়া হয়নি পুর্বের অবস্থানে।
জানা যায়, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে ২০ মে ২০২৩ তারিখে খুলনা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিন উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এ উচ্ছেদ অভিজানে ৩০ টি পাকা ব্যবস্য প্রতিষ্ঠান উচ্ছেন করা হয়। কিন্তু এক অদৃশ্য কারনে উচ্ছেদ করা হয়নি উপজেলা আওয়ামিলীগ দলীয় কার্যালয়টি। উচ্ছেদ অভিযানের দীর্ঘ ১ বছর ৮ মাস চলে গেলেও আওয়ামীলীগে দ্বিতলা বিশিষ্ট কার্যালয়টি স্বমহিমায় এখনো মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে বিষয়টি সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে জেলা পরিষদকে লিখিত ভাবে জানানো হয়। জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুরোধ করেন। এরপর ৫ মাস অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পার্কটিকে আদালতের আদেশ মোতাবেক পুর্বের অবস্থানে নেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য ১৯৮০ সালে মধুমিতা পার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পার্কের জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা তৈরি করে। দখলের প্রতিবাদে গঠিত হয় মধুমিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটি। সেসময় ব্যাপক আন্দোলন ও সংগ্রাম। অবৈধ দখলকারিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সহকারী জজ আদালত পাইকগাছায় মামলা করা হয়। বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। এ আদেশ অমান্য করে দোকানঘর নির্মান ও ব্যবসা বানিজ্য অব্যাহত রাখলে মধুমতিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটি ২০০৫ সালে মহামান্য হাইকোর্টে ৩৫৯০/০৫ রিট পিটিশন করেন। মহামান্য হাইকোর্ট মামলাটির শুনানি অন্তে ২০০৫ সালের ২৪মে মধুমিতা পার্কের অভ্যান্তরে অবৈধ নির্মান কাজ বন্ধ করার আদেশ দেন। এরপরও অদ্যাবধি সকল কর্মকান্ড অব্যাহত থাকায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে ১০২/২২ কনটেম্ট পিটিশন করা হলে ১৩ মার্চ ২৩ মহামান্য হাইকোর্ট মামলার বিবাদীদেরকে ২০ দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে পার্কটিকে পূর্বের অবস্হায় ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তুু আজও পার্কটি পুর্বের অবস্থায় নেয়া হয়নি। উচ্ছেদ করা হয়নি আওয়ামিলীগ কার্যালয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে। দ্রুতই কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।