বাংলাদেশ সকাল
বুধবার , ৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. কৃষি বার্তা
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. খোলা কলাম
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন বিধান
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাস
  14. বিনোদন
  15. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৬ লেইন নির্মাণ নিয়ে দ্বিমত, স্হানীয় জনসাধারণের সাথে মত বিনিময়

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
জানুয়ারি ৮, ২০২৫ ৭:০৫ অপরাহ্ণ

 

কাইয়ুম চৌধুরী, সীতাকুণ্ড : চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড-মেরিন ড্রাইভ হতে মীরসরাই ইকোনমিক জোন পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়ক চার লেইন ও ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়কে (সীতাকুণ্ড অংশে বড় দারগাহাট হতে ফৌজদারহাট- বায়েজিদ লিংক রোড পর্যন্ত) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা ফ্লাইওভার রোড নির্মানের মতামত দিয়েছেন এলাকাবাসী।

বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন থেকে ছয় লেইনে উন্নীত করা সরকারের একটি আগ্রাধিকার প্রকৃয়াধীন প্রকল্প। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ এর প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ ইতিপূর্বে একটি সংস্হাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তারা বিভিন্নস্হরে সমীক্ষা চালাচ্ছেন।

ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেইট পর্যন্ত ২৩২ কিলোমিটার দূরত্বের এই মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশ অর্থাৎ বড় দারগাহাট হতে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড-মেরিন ড্রাইভ সড়ক পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার অত্যান্ত ঘন বসতি এলাকা। মহাসড়ক ছয় লেইনে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হলে এই এলাকার বহু সরকারি স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প- কারখানা, হাট-বাজার, বাড়ি-ঘর, পেট্রোলপাম্প, সিএনজি স্টেশন, হাসপাতাল, মসজিদ-মন্দির, কবরস্থান, শাশানসহ শত শত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা উচ্ছেদ হয়ে যাবে। এ ছাড়াও মহাসড়কের দুই পাশে থাকা হাজার হাজার বিরল প্রজাতির বৃক্ষ এবং জীববৈচিত্র অধিগ্রহণের মধ্যে পড়বে। এর জন্য সরকারকে অনেক টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এমতাব্যবস্থায় সীতাকুণ্ডবাসী ও দেশের স্বার্থে দুইটি বিকল্প প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে মতামত সভায়।

প্রথম প্রস্তাব হলো-: সমুদ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধে নির্মিত বেড়ি বাঁধের উপর মেরিন ড্রাইভ সড়ক ফৌজদারহাট (ডিসি পার্ক) হতে মীরসরাই ইকোনমিক জোন পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়ক চার লেনে উন্নীত করা। উল্লেখ্য যে টেকনাফ হতে কক্সবাজার পর্যন্ত ৯৮ কি.মি. এবং আনোয়ারা হতে ট্যানেল হয়ে ফৌজদারহাট ডিসি পার্ক পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এতে ট্যানেল ব্যবহার শতভাগে উন্নীত হবে এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধিপাবে। এছাড়াও মেরিন ড্রাইভ সড়ককে বেড়িবাঁধ হিসাবে ব্যবহার করা সম্ভব হলে সীতাকুণ্ড-মীরসরাইবাসী ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস, সুনামী হতে রক্ষা পাবে। তাছাড়া উপকূলীয় বেড়ি বাঁধের উভয় পাশে পূর্বে অধিগ্রহণ করা সরকারী খাস জায়গা রয়েছে। ফলে তেমন বেশী কোন ক্ষতিপূরণ লাগবে না। মেরিন ড্রাইভের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তাছাড়া মাটির ও তেমন সমস্যা হবেনা।

দ্বিতীয় প্রস্তার হলো -:ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়কের (সীতাকুণ্ড অংশে বড় দারগাহাট হতে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড পর্যন্ত) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা। এলাকাবাসীর ধারনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে পাশাপাশি আন্ডারপাস, ওভারপাস এবং সার্ভিস সড়ক করা হলে আগামী ২০/৩০ বছর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উল্লিখিত অংশে আর কোন কাজ করতে হবে না।

উপস্হিত এলাকাবাসী মতামতে জানায়, আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত, বার বার বাড়ীঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গা পড়ে। তাছাড়া বর্তমানে চার লেইন পার হতেই অনেক কষ্ট, রাস্তা পার হতে অনেক জীবন হানী হচ্ছে। ছয় লেইন হলে যানজট কম হলেও গাড়ী দ্রুত চলাচল করবে তাতে দূর্ঘটনা ও প্রাণহানী দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।

তাই সীতাকুন্ডবাসীর প্রাণের দাবি ছয় লেইন নয় এলিভেটেড – এক্সপ্রেসওয়ে বা ফ্লাইওভার নির্মাণ করে জনসাধারণের ভূগান্তি বা হয়রানী বা জান মালের ক্ষতি থেকে রেহাই পেতে পারে, মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে ভারী যানগুলো পোর্ট থেকে মীরসরাই ইকোসো জোন প্রযন্ত চলাচলে বাধ্য বাধকতা সৃষ্টি করা।

আজ বুধবার (৮ জানুয়ারী) সকাল ১১ টায় সীতাকুণ্ড সদর মুক্তিযোদ্ধা ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত স্হানীয়দের উপস্হিতি সড়ক ও জনপদ বিভাগেরর আয়োজনে মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিল্পপতি মাষ্টার আবুল কাসেম, সীতাকুণ্ড উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড বীর মুক্তিযুদ্ধা সৈয়দ আবুল মনছুর, সীতাকুণ্ড সমাজ কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি বিমিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ গিয়াস উদ্দীন, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন চৌধুরী, সহ সভাপতি খায়রুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মোঃ জাফর ছাদেক,সাংবাদি দিদার হোসেন টুটুল, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম দুলু,সানন্দ ভট্রাচার্য্য সাগর, সড়ক ও জনপদ বিভাগের ছয়লেইন প্রকল্পের কো-অর্ডিন্যাটর বোরহান উদ্দীন সহ ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, কৃষক সর্বস্তরের  লোকজন উপস্হিত ছিলেন।

সর্বশেষ - এক্সক্লুসিভ

আপনার জন্য নির্বাচিত