বাংলাদেশ সকাল
শনিবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. কৃষি বার্তা
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. খোলা কলাম
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন বিধান
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাস
  14. বিনোদন
  15. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

দখলবাজ খিলার আতংকে ভুক্তভোগী পরিবারবর্গ 

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
এপ্রিল ২৯, ২০২৩ ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের ঘোড়ামাড়া গ্রামের জমি দখলকারী খেলাফৎ হোসেন (খিলার) আতংকে দিন কাটাচ্ছে বেশ কিছু ভুক্তভোগী অসহায় পরিবার। মূলত হামলা, মামলা ভয়ভীতি আর স্থানীয় প্রভাব খাঁটিয়ে জমি দখল করায় কাজ এই খেলাফৎ হোসেনের। পূর্ব এলাকার স্থানীয় গোয়ালপাড়া বাজারের আশপাশের বেশ কিছু জমি এখনো তাঁর দখলে রয়েছে বলে জানা যায়। খেলাফৎ হোসেনের জোরপূর্বক দখল করা এসব জমির সঠিক কোন কাগজপত্র নেই বললেই চলে।

জানা যায়, বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে খেলাফৎ অবৈধ ভাবে এসব জমি দখলের মহাউৎসবে মেতে উঠেন। সেসময় ওই এলাকায় খিলা ছিলেন চরম এক আতঙ্কের নাম। অনুসন্ধানে জানা যায়,খেলাফতের হাত থেকে বাদ যায়নি বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি। অনেক জমির মালিক দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে নিঃস্ব হয়ে জমির মালিকানা একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছেন। বিভিন্ন অনুসন্ধানে খেলাফতের জমি দখলের নানা তথ্য উঠে আসে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে। এমনকি মহামান্য হাইকোর্টের রায় পক্ষে পাওয়ার পরেও জমির দখল নিতে পারছেন না বেশ কিছু ভুক্তভোগী পরিবার।

খেলাফতের জমি দখলের বিষয়ে দোগাছি ইউনিয়নের নিজপুটিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম খান ও তার ছেলে তাজমিনু রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমার ২৫০ নং সোনাদহ মৌজার সাবেক ০৯ ও হাল ০৬ নং দাগে ৩৩ শতক জমির মালিক হইয়া দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখল করে আসছিলাম। আমি চাকরিতে যাবার সময় খেলাফতের কাছে জমিটা বর্গা দিয়ে যায় আর সেটাই আমার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়।

তিনি জানান, ১৯৯৬ সালের মাঠ জরিপের সময় খেলাফত আমার জমি তার নামে রেকর্ড করে নেয়। ঘটনা জানতে পেরে আমি রেকর্ড সংশোধনীর মামলা করি তারপরেও জমির মালিকানা ফিরে পাই না। পরবর্তীতে জমির মালিকানা ফিরে পেতে আমি আবারো মহামান্য হাইকোর্টের নিকট একটি মামলা করি যাহার মামলা নং-১৪২৮/২০০৩/ মহামান্য আদালত সমস্ত কিছু যাচাই-বাছাই করে আমার পক্ষে জমির মালিকানার রায় প্রদান করেন। কিন্তু তারপরেও খেলাফত সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে আমার জমি জোর জবরদস্তি ভাবে দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে রেখেছেন। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এবং গোপন অনুসন্ধানে খেলাফতের এরকম চাঞ্চল্যকর জমি দখলের বহু তথ্য বের আসে। জমি দখলের বিষয়ে ওই এলাকার আড়ুয়াকান্দি গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে রাকিব অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা খেলাফত হোসেনের কাছে বর্তমান মোশারফ হোসেন সালেহা খাতুন বিদ্যালয়ের পাশে ৮০ দশকের শেষের দিকে আনুমানিক প্রায় ৮.৫ বিঘা জমি বর্গা নেয় পাঁচ বছরের ডিড করে। কিন্তু পরবর্তীতে আমার বাবার সই নকল করে ৫০ বছরের জন্য ডিড করে নেয় এই খিলা। পরবর্তীতে জায়গা জমির শোকে মনোয়ার হোসেন আমার বাবা পাগল হয়ে মারা যায়। বর্তমানে আমরা খুবই কষ্টের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমরা আমাদের বাবার জমির ফেরত চাই। এছাড়া গোয়ালপাড়া বাজারে

আরেকটা জমি হরিশংকরপুর ইউনিয়নেরন পানামী গ্রামের আজিজ মেম্বার, হুদা পুটিয়ার সি আই, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ লুৎফর রহমান, সাপখোলা গ্রামের ঠান্ডু, রবি, ও ফিরোজ ডাক্তার সহ মোট ১৮ জন ব্যক্তির নামে ১৮৫ শতক জমি জোরপূর্বক খেলাফত ভোগ দখল করছে। এই জমির রায় এখন ভুক্তভোগীদের পক্ষে। তারাও এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে তাদের নিজের জমি ফেরত চান। মূলত খেলাফতের কাছে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে এসব ভুক্তভোগী পরিবারের মানুষেরা।

স্থানীয়সূত্রে জানা জায়, জমি দখলের জন্য এলাকায় প্রভাবশালী এক সামাজিক বলাই সৃষ্ট করে রেখেছেন এই খেলাফৎ হোসেন। এলাকায় সক্রিয় বিএনপির রাজনীতি করলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তির টাকা পয়সা দিয়ে তাদের সহায়তায় অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন মামলাবাজ খেলাফৎ। এছাড়া খেলাফৎ স্থানীয় কিছু দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের সাহায্য দুই নাম্বারী কাগজপত্র তৈরি করে পরের জমি দখল করে নিয়ে সেসব জমি মোটা টাকায় বিক্রি করে। এসব জমি বিক্রি করে গোয়ালপাড়া বাজার এলাকায় গড়ে তুলেছেন বিপুল পরিমাণ সম্পদের পাহাড়। জমির প্রকৃত মালিকানা দাবি করলেই স্থানীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের উপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। খিলাফৎ পরিবারের উপর কিছু রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা চলমান রয়েছে।

খিলাফৎ হোসেনের জমি দখল আর নানা অনিয়মের বিষয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা দৌগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া কাজল জানান, আমার নির্বাচনী এলাকার রবিউল ইসলামের ৩৩ শতক জমি খেলাফত হোসেন অন্যায় ভাবে দখল করে রেখেছেন। হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন আমরা খুব দ্রুতই স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে জমিটি সঠিক মালিকানায় ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। অন্যায় ভাবে বর্তমান সরকারের আমলে কারো জমি দখল করে রাখার সুযোগ নেই। এদিকে প্রকৃত জমির মালিক হয়েও জমি ভোগদখল করতে না পারাই স্থানীয়রা গভীর উদ্যোগ প্রকাশ করেন। এক কথায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যেরা জমি দখলবাজ খিলা আতঙ্কে ভুগছে। তার ভয়ে স্থানীয়রা কেউ কোন মুখ খুলতে পারছেনা।

জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে খেলাফৎ হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সে বলেন, আমার জমি আমি বিক্রি করে দিয়েছি কত না থাকলে তো ভূমি বিক্রি করা যায় না। ইসলামের সাথে আমার একটি জমির মামলা চলছে। হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দিয়েছে আমি সুপ্রিম কোর্টে করে আপিল করেছি আবার। জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, জমি নিয়ে কোটি মামলা চলছে কোর্টে সব কাগজ আছে। কাগজ থাকার পরেও আপনার জমি কিভাবে বেহাতি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি বিএনপি করি বলে আমার জমি দখল করে নিচ্ছে তারা।

সর্বশেষ - এক্সক্লুসিভ

আপনার জন্য নির্বাচিত

কক্সবাজারে দুদকের গণশুনানী অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় ট্রলির চাপায় প্রাণ গেল ৩ বছরের শিশু কন্যা জান্নতুলের

কাশিয়ানীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত 

প্রভাবশালী গ্যাস চোরাইকারবারীদের চোরাই সংযোগের কবলে বাখরাবাদ 

মেহেরপুরে মাঠ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার

নিয়োগ পরিক্ষা বাতিলের দাবিতে গঙ্গাচড়ায় হরিজন সম্প্রদায়ের মানববন্ধন 

কক্সবাজারে মাদক মামলায় ১রোহিঙ্গাসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

মেহেরপুরে ভূমি অধিগ্রহণে ভৌতিক মূল্যে আতঙ্কিত সাংবাদিক পরিবার ও ভূমির মালিকরা

দেবহাটায় আশার আলোর পক্ষ থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকে এলইডি টিভি ও বেঞ্চ প্রদান

শেরপুরে অর্ধকোটি টাকার হেরোইন সহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার