এম আবু হেনা সাগর॥ পর্যটন নগরী কক্সবাজারে শীত মৌসুমে অসংখ্য পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি সাপ্তাহিক ছুটি। রবিবার বড়দিন। পাশাপাশি চলতি শীত মৌসুমে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড় চোখে পড়ার মত। এমিনতেও চলছে শীতের মৌসুম। তাই কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। অন্যান্য সময়ের চেয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ স্থানীয় পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটক দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এলাকা। পর্যটন মৌসুম শুরু হতে না হতেই কক্সবাজারে পর্যটক আসতে শুরু করলো পূর্বের মতই।
জানা যায়, সাগরকন্যা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতোই জেলার অন্য স্পর্টসমুহেও শোভা পাচ্ছে পর্যটকদের কাছে। পর্যটন এলাকা হিসেবে খ্যাত কক্সবাজার জেলায় দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দর্শন ছাড়াও অপরূপ দর্শনীয় স্থানের তালিকায় রয়েছে বৌদ্ধ মন্দির,চৌফলদন্ডী-খুরুশকুল সংযোগ সেতু, খুরুস্কুল আশ্রয়ন প্রকল্প,লবণ রপ্তানী জোন, ঈদগাঁও রাবার ড্যাম, ইনানী সী-বীচ,কানা রাজার সুড়ঙ্গ, হিমছড়ির ঝর্না, কুতুবদিয়ার বাতিঘর,মহেশখালী জেটি,আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়া দ্বীপ, বরইতলী ইউনিয়নের মনোমুগ্ধকর গোলাপ বাগান, মাতামুহুরী নদী,বরইতলী মৎস্য খামার, ডুলাহাজারার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, রামুর রামকোট বৌদ্ধ বিহার, লামার পাড়া বৌদ্ধবিহার, রাবার বাগান, রামকোট মন্দির, টেকনাফ উপজেলার ঊনবিংশ শতাব্দীর ইতিহাসের প্রেমের নিদর্শন স্বরূপ মাথিন কূপ, সেন্টমাটিন প্রবালদ্বীপ, ছেঁড়াদ্বীপ, চকরিয়ার নিভৃতে নিসর্গসহ অসংখ্য পর্যটন স্পট।
যেগুলো প্রায়শ কক্সবাজারে টানছে পর্যটকদের।বেড়াতে আসা অনেকে জানিয়েছেন, কক্সবাজারের বিকল্প অন্য কোন এলাকার সাথে তুলনা হতে পারেনা। সৌন্দয্যের লীলাভূমি ও বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে অবিরাম ছুটে চলা অন্য কোথা ও নেই। ভোরে সূর্যোদয় দেখা, দুপুরে সৈকতে গোসল করা, বিকালের সূর্যাস্ত উপভোগ করছেন পর্যটকরা। সৈকত ঘিরে পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে।
বেড়াতে আসা জামি, আইরিন ও সুবাহ জানান, পরিবারের সাথে ঘুরতে এসেছি। চমৎকার কক্সবাজারের পরিবেশ। যোগাযোগ ব্যবস্থারও পরিবর্তন হয়েছে। দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ছাড়াও অনেক পর্যটন স্পট রয়েছে দেখার মত।
তবে ব্যবসায়ীদের মতে, কক্সবাজারের পর্যটকের আগমন শুরু হয়। রীতিমত হোটেল মোটেলে বুকিংও চলছে। চাঙ্গা হচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।