নিজস্ব প্রতিনিধি॥ কক্নবাজারে বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক বিচ ভলিবলের শিরোপা জিতলো স্রীলঙ্কার নারী দল।
বঙ্গবন্ধু এশিয়ান সেন্ট্রাল জোন ম্যানস এন্ড ওমেনস ইন্টারন্যাশনাল বিচ ভলিবল প্রতিযোগিতা ২৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে সম্পন্ন হয়।
টুর্ণামেন্টে মহিলা বিভাগে শিরোপা জিতেছে শ্রীলংকা নারী দল। শ্রীলংকার দিপীকা-সাতুরিকা জুটি সরাসরি ২-০ সেটে নেপালের কামালা-কোপিলা জুটিকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের ঘরে নেয়। পুরুষ বিভাগের দুটি সেমিফাইনালে শিরোপা প্রত্যাশী মালদ্বীপের কাছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর স্বাগতিক বাংলাদেশ ২-০ সেটে হেরে বিদায় নিল। প্রথম সেমিতে নেপালের কাছে ২-০ সেটে কিরগিজস্থানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে। কাল সকালে একই ভেন্যুতে পুরুষ বিভাগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
এই প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এনবিপি, এনইউপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন এবং পরে বিজয়ী খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান ও কিরগিজস্থান এই ৭টি দেশের পুরুষ দল এবং বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও উজবেকিস্তান এই ৪টি দেশের নারী দল অংশ নেয়।
বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই টুর্ণামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌবাহিনী প্রধান বলেছেন-জনপ্রিয় স্পোর্টস ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে কক্সবাজারের অপার সৌন্দর্য বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। এর ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধিশালী হবে। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবাইকে দেশপ্রেম নিয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের নীল জলরাশির গর্বের বঙ্গোপসাগর আমাদের অহংকার। এর রক্ষণাবেক্ষণে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদা তৎপর।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে -ভলিবল ফেডারেশনের সভাপতি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিচ ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পর্যটন ও ভলিবলের পরিচিতি ব্যাপকাভাবে প্রসারিত হবে। অলিম্পিক বিচ ভলিবলের বাছাই পর্বের খেলাও কক্সবাজার বিচে হবে। হারিয়ে যাওয়া ভলিবল এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেকটা সুদৃঢ়। বাংলাদেশ ভলিবল দল ধারাবাহিকভাবে সফলতা অর্জন করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সুস্থ, সবল ও মাদকমুক্ত জাতি গঠনে খেলাধুলা অপরিহার্য। তরুন প্রজন্মের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার বিকল্প নেই।