মোঃ বেলাল হোসেন, জেলা প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় ধানক্ষেতে ইঁদুরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় কৃষকেরা নানা কৌশল ব্যবহার করেও সুফল পাচ্ছিলেন না। বিষটোপ, পলিথিনের নিশানা আর কলাগাছ পুঁতেও সমাধান না মেলায় এবার কৃষকেরা আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় প্রযুক্তি—‘বাঁশের চোঙ্গা ফাঁদে’।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিনহাজুল হক নবাব কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই ফাঁদ তৈরির উপায় জানিয়ে দেন।
সাইতারা ইউনিয়নের খোচনা গ্রামের কৃষক আসাদুজ্জামান জানান, “ইঁদুর মারা আমার নেশা হয়ে গেছে। গত ৬ মাসে প্রায় ৩ হাজার ইঁদুর মেরেছি। গতকাল রাতে ৪৪টি ফাঁদ বসিয়েছিলাম। সকালে গিয়ে দেখি, ৩৫টি ইঁদুর ধরা পড়েছে।” ইঁদুর নিধনে সফল হওয়ায় গত বছর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তিনি পুরস্কারও পান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, “স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত এ বাঁশের ফাঁদ পরিবেশবান্ধব ও কার্যকর। এক রাতে বহু ইঁদুর ধরা সম্ভব হওয়ায় কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন। প্রতিবছর ইঁদুর ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করলে ধানসহ অন্যান্য ফসলও সুরক্ষিত থাকবে। বেশি ইঁদুর মারতে পারলে কৃষকদের পুরস্কৃতও করা হবে।”
উল্লেখ্য, দেশে ১৯৮৩ সাল থেকে সরকারি উদ্যোগে ইঁদুর নিধন অভিযান শুরু হয়।




















