ইমাম হাছাইন পিন্টু, নাটোর॥ নাটোরের গুরুদাসপুর কালাকন্দর নিবাসী মোঃ দবিরউদ্দিন পিতা ফজের উদ্দিন ১৯৭১ সালে দেশের টানে স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবনপণ বাজী রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দবিড়উদ্দিন। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারি নথিভূক্ত হতে পাড়েন নাই এই যোদ্ধা।
সরেজমিনে কথা বলে জানা যায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সেক্টর ৪ কমান্ডার আবুল কালামের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধা দবিরউদ্দিন। নাটোর ক্যাম্পে আনছার টেনিং শেষে দীর্ঘ সময় যুদ্ধ শেষ করে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে বাড়ী ফিরেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দবিরউদ্দিন বলেন, বাবা মায়ের এক সন্তান হবার পরেও জিবনের ঝুঁকি নিয় শেখ মজিবরের আহবানে সারা দিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।যুদ্ধ শেষে স্বাধীনতা নিয়ে বাড়ী ফিরি এবং যুদ্ধকালীন সময় ব্যবহৃত অস্ত্র জমা দিবার দুই মাস পর আমার সকল কাগজাদি হাতে আসে। কিন্তু স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পাড় হলেও সরকারি নথিভূক্ত হওয়াতো দূরের কথা কেই আমার খোঁজ খবরও রাখে নাই।
আমি এখন বৃদ্ধ, আমার ছয় ছেলে মেয়ে নিয়ে অতি কষ্টে জীবন অতিবাহিত করছি, জীবনের শেষ প্রান্তে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র নিকট আকুল আবেদন আমাকে যেন মুক্তিযুদ্ধের সরকারি নথিভূক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।