
বিশেষ প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার গাছতলা গ্রামের মৃত মিছির আলীর পরিবার কর্তৃক বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ শাকিল হাসান কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে হামলা করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস) এর চেয়ারম্যান মো. সুমন সর্দার সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
অনুসন্ধানে জানা যায় মৃত মিছির আলী ১৯৭৭ সালে বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ ষড়যন্ত্র করে ছিনিয়ে আনে। এর পর থেকে চেয়ারম্যান মিছির আলীর সম্পদের পরিমাণ ফুলে ফেঁপে উঠে। ১৯৮০ সালের পরে ভূমি জরিপ চলা কালে মিছির আলী তার চেয়ারম্যান এই পদ ব্যবহার করে তার এলাকার অনেক মানুষের জায়গা জমি অবৈধভাবে রেকর্ড করে নেয়। মিছির আলী ও তার পরিবার কর্তৃক মানুষকে জুলুম নির্যাতন শুরু করে এমনকি তার পরিবার কর্তৃক অনেককে হত্যার উদ্দেশ্যে রক্তাক্ত করে। ষড়যন্ত্রকারী চেয়ারম্যান মিছির আলীর ষড়যন্তের শিকার হয়ে সহায় সম্বল হারিয়েছিল।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, মিছির আলীর বড় ছেলে জাকির হোসেনের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল একই বাড়ির মৃত সৈকত আলী। মৃত সৈকত আলী তখনকার সরকারের পাট গুদামের সরকারি চাকরি করতো জাকির হোসেন ষড়যন্ত্র করে ও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সৈকত আলীর চাকরি খেয়ে ফেলে। সৈকত আলী জাকির হোসেনের আপন চাচাতো ভাই হওয়া সত্বেও এই পরিবারের জুলুম নির্যাতন থেকে বাঁচতে পারেনি শুধু তাই নয় মৃত সৈকত আলী ও তার ভাই সামা মিয়া সম্পত্তি অবৈধভাবে রেকর্ড করে নেই ষড়যন্ত্রকারী চেয়ারম্যান মিছির আলী। মিছির আলী ও তার ছেলেরা মানুষের সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসতেছে। বর্তমানে মৃত সৈকত আলী ও তার ভাই মৃত সামা মিয়ার ওয়ারিশরা বাদী হয়ে দেওয়ানী মামলা দাখিল করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দেওয়ানী আদালতে যার মামলার নং ৬৯৪/২৫ ইং।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মৃত শওকত আলী ছেলে শরীফ হোসেন বলেন, আমার বাবা ও আমার চাচা ১৯৬৫ সালে দলিল ১৯৭৪ সালে সাফ কাবলা দলিল থাকলেও বি এস রেকর্ড মিছির আলি অবৈধভাবে করে নেয়। আমার দাদা মৃত ইন্তেজালির তিন ভাই ছিল একজন আব্দুল জলীল নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যাই আইন অনুযায়ী আমরা এর বৈধ ওয়ারিশ।কিন্তু মিছির আলী ষড়যন্ত্র করে অবৈধভাবে রেকর্ড করে নেয়। আমরা পারিবারিক ভাবে মিছির আলীর ছেলেদের সাথে অনেকবার যোগাযোগ করেছি এই বিষয়ে সমাধান করতে এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও বিষয়টা জানিয়েছি একটা সমাধান করতে কিন্তু মিছির আলীর ছেলেরা কোন সমাধান তো করেই নাই আরো বলে তোরা পারলে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দে। আমারা প্রায় চার বছর অপেক্ষা করে দেওয়ানী মামলা করেছি বর্তমানে মিছির আলীর পরিবার কর্তৃক আমার পরিবার কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসতেছে। আমার পরিবারের কাউকে দেখলেই বর্তমানে জাকির হোসেন ও তার বউ হেলেনা বেগম, আক্তার হোসেন ও তার বউ রাহেলা এবং এদের ফ্যামিলির অন্যরাও বাজে বাজে বকাঝকা করে। ও বর্তমানে আমাদের চলার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতেছে দেওয়ানী মামলার নোটিশ পাওয়ার পরে জাকির হোসেন এর বউ হেলেনা বেগম বলে আমার ভাই ভাতিজারা চার চারটা মার্ডার করে জেলে, একাধিক ভাই মরেছে, প্রয়োজন হলে তোদেরকে মার্ডার করে জেলে থাকবো। তোদের দেখে নিব বলে হুমকি দিয়ে আসতেছে আক্তার হোসেন ও তার বউ রাহেলা বেগম।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মৃত সামা মিয়ার ছেলে আবুল কালাম বলেন, বর্তমানে আমরা খুবই আতঙ্কে ভয় ভীতির মধ্য দিয়ে সময় পার করতেছি জাকির হোসেন আক্তার হোসেন হেলেনা বেগম রাহেলা বেগম সহ এদের পরিবারের সবাই আমাদেরকে মার্ডার করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী হেনা আক্তার বলেন, সাংবাদিক শাকিলকে জাকির হোসেন, আক্তার হোসেন, হেলেনা বেগম, রাহেলা বেগম মার্ডার করবে কেনো? মামলা করেছে শরিফেরা এর সাথে সাংবাদিক শাকিল জড়িত সন্দেহে করে তাকেও হত্যা করবে বলে শুনেছি।
সাংবাদিক শাকিল হাসান এর হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে পায়েল আহমেদ, রায়হান মিয়া, রোজিনা, মুরশিদারা বলে সাংবাদিক কে জাকির হোসেন, আক্তার হোসেন, হেলেনা, রাহেলা হত্যা করবে বলে আসতেছে অনেক দিন ধরে। কারণ সাংবাদিক শাকিল নাকি শরিফ হোসেন কে মামলার সহযোগিতা করছে, এই জন্য সাংবাদিক শাকিলকে যা তা বকাবকি করে সারাদিন মার্ডার করবে, কয়েক লাখ টাকা খরচা করবে প্রয়োজনে জেল খাটবে তবুও শাকিলকে দেখে নেবে এরা সবাই।
সাংবাদিক শাকিল হাসান বলেন, আমি যখন আমার বাড়ি থেকে বের হই তখন জাকির হোসেন, আক্তার হোসেন, হেলেনা বেগম, রাহেলা বেগম এরা আমাকে খারাপ ভাষায় গালি-গালাজ করে। আমাকে মার্ডার করবে প্রয়োজনের জেল খাটবে এক কোটি টাকা খরচ করবে তবুও আমাকে দেখে নিবে।বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি কখন যে কি করে।
তিনি আরও বলেন, আমাকে গতকাল রবিবার আক্তার হোসেন গংরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারতে আসে সকাল ০৭ ঘটিকায় তখন আমাকে পাশের কয়েক সেভ করে। আমি বিজয়নগর থানায় একটা জিডি করেছি। এদের বিরুদ্ধে আই আনুক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।