
এম আবু হেনা সাগর : কক্সবাজারে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ চরম আকারে বেড়েছে।
১১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে হঠাৎ ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় কক্সবাজার শহরের অধিকাংশ এলাকায় পানি উঠে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। সকালেই বৃষ্টিপাত কমে গেলেও কিছু এলাকা থেকে পানি নেমে গিয়ে রয়ে গেছে জনদূভোর্গ।
এদিকে কক্সবাজার সরকারি কলেজের প্রবেশ পথে পানির কারনে এইচএসসি পরীক্ষাথীদের হলে যেতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে বলেও জানান অভিভাবকরা। পৌর এলাকা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়। নালার উপর দোকান, ডুবে গেছে টেকপাড়া সহ নিম্নাঞ্চল। ঘন্টা দুয়েক বৃষ্টিতে কলাতলী সুগন্ধা মেইন সড়কে বন্যা। কক্সবাজারে হোটেল মোটেল জোনে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ।
অন্যদিকে পাহাড়ী ঢলে ঝিলংজা ইউনিয়নে জানারঘোনা, হাজীপাড়ায় পানি বন্ধী মানুষের অবস্থা খুব খারাপ। দূর্ভোগে পর্যটকসহ স্থানীয়রা হাঁটুসমান পানির নিচে টেকপাড়া সংলগ্ন এলাকা কয়ঘন্টার ভারী বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকা পানি বন্দি, বাসাবাড়িতে ঢুকেছে ঢলের পানি। অপর দিকে ঈদগাঁও ইউনিয়নের মাইজ পাড়ার খালটি খনন না করার কারনে বর্ষা মৌসুমে খাল পাড়ের মানুষদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাড়ীঘরের উঠানে পানিতে যেন সয়লাভ। চলাচলে নেই ব্যবস্থা।
মাত্র একদিনের বৃষ্টিতে ডুবে যাচ্ছে ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। এমনি পরিস্থিতিতে নাগরিক সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়ে থাকে প্রায় বৃষ্টির সময়।
অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের আশংকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের চূড়া ও পাহাড়ের পাদ দেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক।