স্বপ্ন আলী, মেহেরপুর॥ চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় এশিয়ান টিভির মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান জনিকে গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের সহায়তায় মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক মিজানুর রহমান জনিকে সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনতাই এবং চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এনটিভির সাংবাদিক রেজানুল বাসার তাপসের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২২ নভেম্বর মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে মামলা দায়ের করেন বাদি রেজানুল বাসার তাপস। আদালতের বিঞ্জ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআরে’র নির্দেশ দেন।
মামলার এজহারে বাদির অভিযোগ, আসামী অত্যান্ত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী , মাদক সেবন ও মাদক বিক্রেতাদের বস। মেহেরপুর জেলায় বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজী সহ অসহায় নারীদের দিয়ে দেহ ব্যাবসা করানোর গুরুত্ব অভিযোগ এই মিজানুর রহমান জনির বিরুদ্ধে এখন সূর্যের আলোর ন্যায় প্রতীয়মান। বাদি ১১ বছর যাবত এনটিভির জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। সেই সুবাদে বিবাদির সাথে আমার পরিচয় হয়। গত ১/১১/২০২১ ইং তারিখে আসামী মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টারের পাশে কফির দোকানে বসিয়া আমাকে বলে আমার পরিবারে ছবি উঠানোর জন্য এনটিভির জন্য ব্যবহৃত ডিএসএলআর ক্যামেরাটি কয়েকদিনের জন্য নেই। যার মূল্য ১ লক্ষ টাকা। কিন্ত বিবাদি মিজানুর রহমান জনি ক্যামেরাটি কিছু দিনের জন্য নিলেও আর ফেরত না দিয়ে দিনের পর দিন ঘোরাতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামী ৫০ হাজার টাকা চাঁদার বিপরীতে ক্যামেরা ফেরত দিতে রাজি হয়। বাদি নিরুপায় হয়ে আসামিকে বিকাশ নগতের মাধ্যমে ৪৭ হাজার টাকা দেই। তারপরেও আসামী ক্যামেরা ফেরত না দিয়ে আজকাল করে ঘুরাইতে থাকে। বিষয়টি বিভিন্ন জনকে জানালে আসামী আরো ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তা না হলে বাদির ছবি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করবে বলে হুমকি প্রদান করে।
এছাড়া আসামি বিভিন্ন সময় বাদিকে ভয়ভীতি এবং প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে। আসামি বিভিন্ন সময় সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে মানুষকে ভয়ভিতি এবং চাঁদা দাবি করে। আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি মামলা চলমান। কথায় কথায় হুংকার আর মার কাট দাঙ্গা বাঁধানো যেনো তার নিত্যদিনের সঙ্গী। সুস্থ সাংবাদিক মহলকে কলঙ্কিত করেছে এই মিজানুর রহমান জনি।
এছাড়া সম্প্রতি হোটেল আটলান্টিকা ব্লাকমেইল চাঁর সাংবাদিকের মধ্যে মিজানুর রহমান জনি অন্যতম। ওই মামলায় আসামি প্রিয়া খান এবং ছন্দা পৃথক জবানবন্দিতে মিজানুর রহমান জনিকে অভিযুক্ত করেছে। অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকে মিজানুর রহমান জনি পালাতক ছিলেন।
মিজানুর রহমান জনির গ্রেফতার বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে মেহেরপুর বিভিন্ন মহলে একধরণে প্রশান্তি বিরাজ করছে ও মিস্টি মুখ করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়।