মোঃ আবু সুফিয়ান পারভেজ ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গ্রাম পুলিশ কর্তৃক গাঁজা উদ্ধার ও ধ্বংস করা হয়েছে। শনিবার ২৮ শে অক্টোবর জয়মনিরহাট ইউনিয়ন পরিষদে আনুমানিক দুপুর ২ টার সময় জব্দ করে আগুন জ্বালিয়ে তা ধংস করা হয়।
এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ শহিদুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় আমার জামাই বাড়ি গিয়েছিলাম। গিয়ে শুনি নাতনি বাসায় নেই। নাতনিকে স্থানীয় বটতলায় পেয়ে জামাই বাড়িতে যাব এমন সময় দক্ষিণ শিংঝাড় গামী পাকা রাস্তায় অটো চলছে দেখে অটোর ড্রাইভার কে ডাক দেই । অটো থামালে অটোতে থাকা তিনজন যাত্রী অটো থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
এতে আমার সন্দেহ হলে অটোচালকের থেকে জানতে পারি, তারা তিন জন আন্ধারীঝাড় যাবে বলে ধারাই (বাঁশের চাটাই) অটোর উপরে বেধে তিনজন ভিতরে সিটে বসে। ধারাইয়ের ভিতর কি আছে অটোআলা জানেনা।পরে আমি চেয়ারম্যান আঃ ওয়াদুদ ও থানায় ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে চেয়ারম্যান পরিষদে আনতে বলেন। আমি অটো সহ পরিষদে নিয়ে আসি।
জানা যায়, পরিষদে নিয়ে আসলে আসামী পালাতক থাকায় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ তাহমিদুল ইসলামের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন করে জয়মনিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে গ্রাম পুলিশ শহিদুল ইসলাম কে ধারাই খোলার নির্দেশ দেন এর্বং দেখেন যে ধারাইয়ের ভিতরে পোলিথিনে মোড়ানো প্রায় আড়াই কেজি গাঁজা রয়েছে। অত:পর টাস্কফোর্সের মাধ্যমে উদ্ধার করে জব্দ করে কেরোসিন তৈল ঠেলে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পুরিয়ে ধংস করে দেওয়া হয়।
এ সময় সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ তাহমিদুল ইসলাম, ভুরুঙ্গামারী – কচাকাটা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান পিপিএম, ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমীন, জয়মনির হাট ইউপি চেয়ারম্যান আঃ ওয়াদুদ মিয়া সহ ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশগণ উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ তাহমিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমরা টাস্কফোর্স গঠন করেছিলাম। টাস্কফোর্সের মাধ্যমে উদ্ধার করে জব্দ করে ধংস করা হয়েছে। যার ওজন প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়েছে আড়াই কেজি ।