যশোর প্রতিনিধি॥ গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় যশোর রাজারহাট রেলক্রসিংয়ের নিকট একটি বাগানে, খুলনা থেকে যশোরগামী ছেড়ে আসা রকেট মেইল ট্রেনের থেকে ছিটকে পড়ে , প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
রক্তাক্ত অবস্থায় তামিমকে আলী হোসেন নামের একজন কৃষক তাকে উদ্ধার করে। সেই মুহূর্তেই যশোর সদরের ১১নং রামনগর ইউনিয়নের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসান লাইফকে ঘটনাটি জানায়, খবর পেয়ে চেয়ারম্যান লাইফ উপস্থিত হয়ে স্থানীয়ভাবে শিশু তামিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর সদর হাসপাতালে বাচ্চাটিকে নিজ দায়িত্বে নিয়ে ভর্তি করিয়ে দেয় । যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসা বাবদ সার্বিক খরচ বহন করে, এবং হোসেন আলী ও মাসুদ পারভেজ হিমেল সহ পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করে দেন। শিশু তামিমকে সর্বক্ষণ দেখাশোনার জন্য ,,, জ্ঞান ফিরলে এক পর্যায়ে শিশুর কাছে তার নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে সে তার নাম বাবার নাম, মার নাম শুধু বলতে পারে কিন্তু এলাকার নাম বলতে না পারায়, চেয়ারম্যান তৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশু তামিমের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে সকলের কাছে নাম ঠিকানা চেয়ে সহযোগিতা প্রার্থনা করে।
অবশেষে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বুধবার দুপুর ২টায় যশোর কোতোয়ালি থানা থেকে জানায় শিশুটির পরিবারের সন্ধান মিলেছে, এবং বিকাল ৪টায় যশোর সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডের ২৫ নম্বর বেডে শিশু তামিমকে পুলিশের সহযোগিতায় তামিমের মা তানিয়া কাছে হস্তান্তর করা হয়। তামিমের মা তানিয়া জানায় আমার শিশু তামিম গত ৩ তারিখ বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে বাড়ি থেকে হারিয়ে যায়, অনেক খোঁজাখুঁজির পর আজ সকালে তামিমের শিক্ষিকা রোমা ম্যাডাম আমাকে ডেকে জানাই, আপনার সন্তান তামিম এক্সিডেন্ট করে যশোর ২৫০শষ্যা হসপিটালে ভর্তি আছে, এতটুকু শুনেই আমি আজ সকাল ১০টায় রাজবাড়ী দৌলোদিয়া থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দুইটার সময় যশোর কোথালী থানায় এসে আমার সন্তানের বিষয়টি জানালে যশোর কোতয়ালী থানার পুলিশ কর্মকর্তারা, আমাকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় এরপর আমার বাচ্চাকে আমি খুঁজে পাই, এবং জানতে পারি যশোর সদর ১১ নং রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজের সন্তানের মত দায়িত্ব নিয়ে আমার সন্তান তামিমকে চিকিৎসা বহন করে আসছেন, তাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো নাা, দোয়া করি তিনি যেনো অনেক বড় হন, বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন মা তানিয়া । এরপর কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই মিহির মন্ডল ও ১১নং রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাইফ দুইজনে মিলে আহত শিশু তানভীর কে তার মা তানিয়ার কাছে হস্তান্তর করে । চেয়ারম্যান লাইফ জানাই মানবতার জায়গা থেকে যতটা আমার পক্ষে সাধ্য, আমি অসহায় মানুষের ততটা সেবা করার চেষ্টা করে আসছি, আমার সাধ্যমত আল্লাহ যেন আমাকে প্রতিটা অসহায় মানুষের এভাবেই পাশে থাকার দাঁড়ানোর তৌফিক দান করে এর থেকে আর বেশি কিছু চাওয়ার নেই।