বাংলাদেশ সকাল
মঙ্গলবার , ১৫ নভেম্বর ২০২২ | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. কৃষি বার্তা
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. খোলা কলাম
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন বিধান
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাস
  14. বিনোদন
  15. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

রাণীনগরে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ইউপি চেয়ারম্যান ও নিকাহ রেজি: এর সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
নভেম্বর ১৫, ২০২২ ৬:৫৯ অপরাহ্ণ

 

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি॥ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নওগাঁর রাণীনগরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রারদের সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাণীনগর থানা পুলিশের আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুরে থানা চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নিজ নিজ স্থান থেকে সকলকে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কাজ করার আহবান জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এসময় সর্বসম্মতিক্রমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে ও থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে প্রধান অতিথি হিসেবে বিভিন্ন মতামত ও বক্তব্য প্রদান করেন নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রখেন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান চন্দনা সারমিন রুমকি, গোনা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, পারইল ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান, সদর ইউপি নিকাহ রেজিস্ট্রার রেজাউল করিম, রাণীনগর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওহেদুল ইসলাম মিলন, সম্পাদক হাফেজ মো: শহিদুল ইসলাম প্রমূখ। এছাড়াও উপজেলার অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যান, নিকাহ রেজিস্ট্রার ও উপজেলার কর্মরত সাংবাকিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান বলেন, নিকাহ রেজিস্ট্রারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সকলেই হেদায়েতের পথের পথপ্রদর্শক, সকলকে পথ দেখান। আপনারা চাইলেই বাল্যবিয়ে রোধ করা সম্ভব। আপনারা যদি বাল্য বিবাহ সম্পন্ন না করেন তাহলে উপজেলায় বাল্যবিবাহ অনেকাংশেই রোধ করা যাবে। আসুন আমরা সকলেই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিজ নিজ স্থান থেকে সোচ্চার হই। পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহার আলোকে এবং দেশের প্রচলিত আইনের ব্যাখ্যা প্রদানসহ উপস্থিত সকলকে বাল্য বিবাহ নিরোধে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সর্বস্মতিক্রমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বয়স প্রমাণের জন্য অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন/জাতীয় পরিচয়পত্র ও এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট দেখতে হবে। নারী ও শিশু আইন মোতাবেক ১৮ বছরের কম বয়সী সকলেই শিশু হিসেবে গণ্য হবে। ছেলেদের ক্ষেত্রে বিবাহের বয়স কমপক্ষে ২১ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে বিবাহের বয়স ১৮। বাল্য বিবাহ করানোর ক্ষেত্রে যদি কেউ বল প্রয়োগ করে তাহলে তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে অবহিত করতে হবে। কোন বাল্য বিবাহ হবে না। বিবাহ কার্য সম্পন্ন করবেন আইন অনুসারে। বাল্য বিবাহ রোধে পাড়া/মহল্লায়, স্কুলে কাজীদের ছোট ছোট সমাবেশের আয়োজন করতে হবে। মসজিদে খুৎবায় বাল্য বিবাহের সুফল ও কুফল সর্ম্পকে আলোচনা করতে হবে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত