শফিকুল ইসলাম স্বাধীন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় জোরপূর্বক জমি দখলে বাধা দেওয়ায় দুই ভাইকে দা’ দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে।
গুরুতর আহতরা হলেন, উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের আব্দুল বাঁচিতের ছেলে আব্দুল মালেক (৫০) ও তার সহোদর ফারুক মিয়া (৪৫)। ১৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার, সকাল ৯ টার দিকে মালেক মিয়ার কৃষি জমিতে হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শান্তিপুর মসজিদ সংলগ্ন মালেক মিয়ার জমিতে একই গ্রামের মোখলেস মিয়ার নেতৃত্বে ৮–১০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক হালচাষ শুরু করে। খবর পেয়ে মালেক মিয়া ও ফারুক মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিলে তাদের উপর দা’ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষরা।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে আহতদের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত মালেক মিয়ার স্ত্রী জবা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে মোখলেস মিয়ার লোকজন তাদের জমিতে যেতে বাধা দিচ্ছিল। (১৪ ই আগষ্ট) বৃহস্পতিবার সকালে জোরপূর্বক জমিতে হালচাষ শুরু করে বাধা দিতে গেলে মোখলেস, আলকাছ, দানা, রায়হান, ফুরকান, রহমান, কাসেমসহ ৮–১০ জন মিলে দা’ দিয়ে কুপিয়ে তাদের গুরুতর জখম করে।
আরো বলেন বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তার বাড়িতে পুরুষ মানুষ বলতে আর কেউ নাই। তিনি বলেন, এ গ্রামের উৎস্মৃখল ও দাঙ্গাবাজ লোক তারা।
স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “জমিটি মালেক মিয়ার নিজস্ব। মোখলেস গংরা জাল দলিল তৈরি করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিল। বাধা দেওয়ায় তাদের কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়েছে।” তিনি অভিযোগ করেন, মোখলেস গং কারও কথা শোনে না এবং চেয়ারম্যান, মেম্বার কিংবা গ্রামবাসীর বিচার সালিশ মানে না। প্রতিপক্ষ মোখলেস মিয়ার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান বলেন, মালেক মিয়ার মাথায় দা’য়ের আঘাত এবং ফারুক মিয়ার পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওসমানীতে পাঠানো হয়েছে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




















