আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের রামদেব কাটি গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাকীকে দা দিয়ে মাথায় কোপ ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে আপন ভাইপো অভিজিৎ দাশ ওরফে শুশান্ত দাশের বিরুদ্ধে। আহত কাকী সবিতা মন্ডল (৪৮) বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মাথায় একাধিক সেলাই ও হাতের হাড় ভাঙা অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
অভিযোগকারী সবিতা মন্ডলের স্বামী ও ব্যাংক কর্মকর্তা বসুদেব দাশ জানান, গত ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তার স্ত্রী সবিতা মন্ডল ও শ্বাশুড়ির সঙ্গে শুশান্তের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শুশান্ত উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা দা দিয়ে সবিতার মাথার মধ্যখানে কোপ মারে এবং লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায়। এতে তার মাথা ফেটে রক্তাক্ত ও বাম হাতের হাড় ভেঙে যায়। ঘটনার সময় বসুদেব দাশ যশোরে চাকরির কাজে এবং তাদের দুই ছেলে একজন যশোরে ও অপরজন স্কুলে থাকায় বাড়িতে কেউ ছিলেন না।
অন্যদিকে, এই নৃশংস হামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবং মামলা থেকে বাঁচতে শুশান্ত নিজের গরু আগেই মামার বাড়িতে রেখে এসে বসুদেব দাশের বিরুদ্ধে “গরু লুট, পানির ট্যাংকি ও ঘরবাড়ি ভাংচুরের” মিথ্যা অভিযোগ এনে স্থানীয় একটি পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ করিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর চাপে বৃহস্পতিবার তিনি গরু মামার বাড়ি থেকে ফিরিয়ে এনেছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, শুশান্তদের পানির ট্যাংকির চাল বসুদেবের ঘরের দেয়ালের সাথে সংযুক্ত ছিল। ঘটনার পর বসুদেব সেই চালটি দেয়াল থেকে আলাদা করে দিয়েছেন মাত্র। ট্যাংকি ও ঘরবাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ট্যাংকিটি অক্ষত আছে।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকায় এ ঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।




















