বাংলাদেশ সকাল
মঙ্গলবার , ৯ জুলাই ২০২৪ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. কৃষি বার্তা
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. খোলা কলাম
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন বিধান
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাস
  14. বিনোদন
  15. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ঈদগাঁও মাইজপাড়া খালের অস্তিত্ব বিলীন, খনন দাবীতে সোচ্চার এলাকাবাসী 

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
জুলাই ৯, ২০২৪ ৩:৪৯ অপরাহ্ণ

 

এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও: কক্সবাজারের ঈদগাঁওর ঐতিহ্যবাহী মাইজ পাড়া খালের উপর পাকা দালান, দোকান পাঠ নির্মাণের হিড়িক অব্যাহত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নীরব ভূমিকায় জনমনে নানান প্রশ্নের সৃষ্টি। ভবিষ্যতে এই খালের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। খালটি পূন: খননের দাবীতে সোচ্চার হয়ে পড়েন বৃহত্তর এলাকাবাসী।

মুরব্বীদের মতে, মাইজ পাড়ার খাল দিয়ে এক সময় পাল তোলা নৌকা চলাচল করত। কিন্তু সময় ও সুযোগে কালো থাবায় অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে। চলছে খাল দখলের মহোৎসব। কালের পরিক্রমায় সেই নদীর বুকে এখন পাকা-আধা পাকা দালানের মহাসমারোহ। অনেক ক্ষেত্রে দেখে বোঝার উপায় নেই যে,এটি এক সময় নদী বা খাল ছিল। একের পর এক দখলের কারণে এসব খাল এখন নিজস্ব স্বকীয় তা হারিয়ে মরা খাল উপাধি লাভ করে। অধিকাংশই খাল দখল করে দূ-তীর ভরাটের মাধ্যমে নানা অবকাঠামো নির্মাণ চলছে। এমনি অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্ম জানতে পারবেনা এখানে একটি খাল ছিল।

আরো দেখা যায়, ঈদগাঁওর বৃহত্তর মাইজ পাড়ার খালটি সম্পূর্ণ ভরাট হয়ে গেছে। কেউ করেছে খালের পাশঘেঁষে দালান,আবার কেউ করেছে দোকান ঘর। ফলে খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া এখন মুশকিল হয়ে দাড়িঁয়েছে। এছাড়া অনেকে এই ভরা খালের উপর বা কাছাকাছিতে সবজি চাষাবাদের আড়ালে টিনের বেঁড়া দিয়ে ঢেকে ফেলেছে খালের এক অংশ। যার ফলেই খালের মূল অংশটি সংকুচিত হয়ে পড়ে। যাতে করে,বর্ষা মৌসুমে পানি সুষ্টভাবে চলাচল করতে না পারায় বাড়ীর উঠানে পানি চষে বেড়ায়। অন্যদিকে এই খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়ে হাটাচলাতো দুরের কথা,ফসলি জমি এবং বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। ঈদগাঁও মেহেরঘোনা জলনাসী যেটি উত্তর,মধ্যম ও দক্ষিন মাইজপাড়া হয়ে চৌফলদন্ডীর বুক চিরে মহেশখালী চ্যানেল দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলিত হয়েছে।

বর্তমানে মাইজ পাড়ার খালটি উদ্ধারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবী বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। বিগত ১২ বছর পূর্বেও ঈদগাঁওর মাইজ পাড়ার খালটি অর্ধ খননের পর বিভিন্ন বাধার কারণে খননের কাজ বন্ধ করে চলে যায় খনন কাজে নিয়োজিতরা।

প্রস্থ ১০ফুট ও গভীরতা ৭ফুট করে মাইজ পাড়া এলাকার খাল খননের পরিকল্পনার কথা জানান কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফোরকান আহমেদ।

৬জুলাই ঈদগাঁও দক্ষিণপাড়ায় অফিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরী বলেন,বৃহৎ মাইজ পাড়ার পানি চলাচলের একমাত্র ভরসাস্থল ঐতিহ্যবাহী এই খাল। বর্তমানে ভরাটকৃত খালটি পরিমাপ করা হবে। শীঘ্রই খালটি খনন করা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন,যতই প্রভাবশালী থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। খাল দিয়ে পানি চলা চলের সু-ব্যবস্থা করা হবেই।

ইরফানুল করিম,শাহজাহান ও সাহাব উদ্দীনসহ স্থানীয়দের মতে, মাইজ পাড়ার খালটি খনন করা বর্তমান সময়েই যোক্তিক দাবিতে পরিণত হয়ে পড়েন। খনন বিষয়ে সোচ্চার এলাকাবাসী।

ওয়ার্ড মেম্বার বজলুর রশিদ জানান, এলাকাতে একটি সভা পরবর্তীতে খালে পানি কমলে (প্রস্ত ১২ ফুট করে) ঐতিহ্যবাহী খালটি খননের লক্ষ্যে পরিমাপ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সর্বশেষ - এক্সক্লুসিভ

আপনার জন্য নির্বাচিত