মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ছেলে ধরা সন্দেহে বাক প্রতিবন্ধীকে ধরে কাশিয়ানী থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে স্থানীয়রা । গত ১৯/০৮/২০২৪ইং সোমবার দুপুর ২ টার সময় কাশিয়ানী উপজেলার পরানপুর হাট থেকে৷ সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করায় বোরখা পরিহিত এক মহিলাকে স্থানীয় জনসাধারণ চ্যালেঞ্জ করলে সে পুরুষ বলে জানা যায়। তার নাম নাম কুদ্দুস শেখ, পিতার নাম মৃত ওয়াজেদ শেখ। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোল্লার হাট উপজেলার কাহালপুর গ্রামে।
ঘটনার খবর পেয়ে কাশিয়ানী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনা স্থলে পৌঁছে জনতার হাতে আটক কুদ্দুস শেখকে উদ্ধার করে কাশিয়ানী থানা হেফাজতে নেয়া হয়। কাশিয়ানী থানার অফিসার্স ইনচার্জ জিল্লুর রহমান জানান আটক হওয়ার সময় তার নিকট একটা এনালগ বাটনসেট মোবাইল ফোন পাওয়া। মোবাইলের ডায়াল লিস্টের মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি বাকপ্রতিবন্ধী ও পেশায় ভিক্ষুক। আনুমানিক ১৫/১৬ বছর পূর্বে হিজরা জনগোষ্ঠীরর লোকেরা তাকে জোরপূর্বক ধরে ভ্যাক্সিন দিয়ে হিজরায় রুপান্তর করে নিজেদের দলভুক্ত করে। এরপর উক্ত ব্যক্তি সুযোগ বুঝে নিজ ঠিকানায় পালিয়ে আসে। হিজরা জনগোষ্ঠীর থেকে পালিয়ে আসার পর থেকে হিজরাদের ভয়ে নিজেকে আত্মগোপনের জন্য বাইরে বের হলে বোরখা পরিধান করে বের হন বলে জানা যায়।
আটক হওয়া উক্ত ব্যক্তির শ্বশুর বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায়। গত দুই দিন আগে তিনি হিজরা জনগোষ্ঠীর নিকট থেকে নিরাপত্তার জন্য বোরখা তার শ্বশুর বাড়িতে গমন করেন। অদ্য তারিখে শ্বশুরবাড়ি মুকসুদপুর হতে বাগেরহাটের মোল্লারহাটে ফেরার পথে আটক হন। তবে ধারণা করা হয় তিনি ভিক্ষা করার জন্যই উল্লেখিত বাড়িতে প্রবেশ করেন। তার সঠিক পরিচয় ও বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ার বিষয়টি স্থানীয় আটজুরী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য পারভেজ মিয়া ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সুনিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে তিনি কাশিয়ানী থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে নেওয়ার জন্য বাড়ি হতে রওয়ানা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন।