নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া॥ কোটচাঁদপুরের দুই বাওড়ের দখল নিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) কর্মকর্তা। শুক্রবার ওই কর্মকর্তার পক্ষে বাওড়ে লাল পতাকা উড়ান ও মাইকিং করে ইজারা শেষ হাওয়ার বিষয় এলাকাবাসীকে জানিয়ে দেন ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ।
তবে শনিবার দুপুরে সরজমিনে এ নির্দেশনা অমান্য করে মাছ ধরতে দেখা যায় হালদারদের।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, এ অঞ্চলের ৬ টি বাওড় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য চাষ হয়ে আসছিল। যার মধ্যে রয়েছে কোটচাঁদপুরের বলুহর ও জয়দিয়া। যা ১৯৭৯ সালে মংস্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তির পর চাষ শুরু হয়। এরপর দুই দফায় মেয়াদ বাড়ে ওই চুক্তির। যা ১৯৯৮ সাল থেকে বাওড় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প রাজস্ব খাতের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। চলতি বছর ১৩ এপ্রিল ছিল চুক্তির শেষ দিন। এ কারনে ১৪ এপ্রিল বাওড়ের তীরে লাল পতাকা উড়িয়ে দখল নেন ভুমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কোটচাঁদপুরের সহকারী কমিশনার (ভুমি) নিরুপমা রায়। আর ওই কর্মকর্তার পক্ষে পতাকা উড়ান বলুহর ইউনিয়ন উপসহকারী (ভূমি)কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ।তিনি বলেন,স্যারের নির্দেশে আমি ও আমার সহকারি ডাবলু কে নিয়ে বলুহর বাওড়ে যায় এবং লাল পতাকা উড়িয়ে বাওড়ের দখল নেওয়ার বিষয়টি জানান দেয়া হয়। এ ছাড়া মাইকিংও করা হয়েছে এলাকা জুড়ে।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নিরুপমা রায়ের মুঠো ফোনে বার বার কল করেও ফোন রিসিভ না করাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, ১৩ এপ্রিল চুক্তি শেষ হয়েছে। এ কারনে ১৪ এপ্রিল ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কোটচাঁদপুরের সহকারী কমিশনার (ভুমি) নিরুপমা রায় বাওড় দখল নিয়েছেন।
এরপরও মৎস্য আহরন করছেন হালদাররা,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখতে সহকারী কমিশনার (ভুমি) তো গিয়ে ছিলেন বাওড়ে। তিনি এ ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন। তারপর ও বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।