যশোর অফিস : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আরজু খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি চাকরির ৩৭ বছরের মধ্যে ৩৫ বছর ধরেই রয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলায়। এই সুবাদে হয়ে উঠেছেন আরও বেপরোয়া।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শিক্ষা অফিসে বিভিন্ন বিল, ভাউচার, কাগজপত্র জমা দিতে গেলে তার নিজের মতো না হলে সেগুলো জমা না নিয়ে অসদাচরণ করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও অদৃশ্য কারণে সেগুলো আমলে নেওয়া হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় ২২ দিন হাজতবাস করলেও এ তথ্য গোপন করে ফের কর্মস্থলে যোগ দেন তিনি। এ ব্যাপারে বিভাগীয় মামলা হলেও কারাগারে অবস্থান নিয়ে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
২০১২-১৩ সালে মনিরামপুর উপজেলার শিক্ষা অফিসের সহকর্মীরা অনিয়ম, হয়রানি ও অসদাচরণের জন্য তার বিরুদ্ধে মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। মামলার রায়ে বাৎসরিক বর্ধিত বেতন দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
আরজু খাতুনের বিরুদ্ধে গত জুলাই মাসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে বদলিসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন উপজেলার বেশ কয়েকজন শিক্ষক।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আরজু খাতুন বলেন, আমি কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করিনি। আমার অফিস দুর্নীতি মুক্ত।
এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেহেলী ফেরদৌস বলেন, তার বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ আছে। আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি যোগদান করার আগে তিনি কিছুদিন জেল হাজাতেও ছিলেন।