মোঃ তরিকুল ইসলাম সুজন, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : যশোর শংকরপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের মাদক আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছে সচেতন এলাকাবাসী। মাদকের হাত থেকে উঠতি যুবক সমাজকে রক্ষা করতে এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, শংকরপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল ঘিরে মাদকের বেশ কিছু হট স্পট গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে অন্যতম হল বিশিষ্ট মাদক কারবারী মিনি খাতুনের মাদকের আস্তানা। বেশ কয়েকবার এই মহিলা মাদককারবারীকে সতর্ক করা হলেও সে কারও কথায় কোন কর্ণপাত না করে দিব্যি ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। পরে বাধ্য হয়ে এলাকার সচেতন মহলকে নিয়ে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ হোসেন নয়নের পিতা ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে একদল যুবক তার মাদকের আস্তানা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।
জনাব ফারুক হোসেন জানান, টার্মিনালে দীর্ঘদিন যাবত মাদকের রমরমা ব্যাবসা পরিচালনা করছেন মিনি খাতুন সহ কিছু উঠতি বয়সি যুবক। মিনি গং কে বার বার বলা সত্বেও তারা মাদকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। ফলে সোমবার ১১/০৩/২৪ তারিখে টার্মিনাল শ্রমিক সহ এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আস্তানা গুড়িয়ে দেই।
তিনি আরও বলেন, এ সময় মিনি খাতুন সহ তার বাহিনী পালিয়ে যাওয়ার সময় টার্মিনাল মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল কালাম কে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়।
ফারুক হোসেন বলেন, যতই হুমকী-ধামকি দিক না কেন টার্মিনাল মাদক মুক্ত করতে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
টার্মিনালকে মাদকের জিরো টলারেন্স ঘোষণা করার সময় ফারুক হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মিনিবাস বাস মালিক সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম, মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক শেখ আবুল কালাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোঃ তরিকুল ইসলাম সুজন, টার্মিনাল দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আঃ আলিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর কবির, নাইটগার্ডের প্রধান আঃ খালেক, ড্রাইভার রাছেল, সোহেল, কুদ্দুস, কুট্টি, স্টাটার রবিউল, দোকানদার শাহ আলম, আঃ হক টিপু, আঃ হালিম মনি বাবু মিলন সহ আরো অনেকে।