নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া॥ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের হায়দার কবিরাজ ও ইসমাইল নামের দুই ব্যাক্তি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগের অপচিকিৎসা দিয়ে আসছে।
মূলত গ্রামের সহজ সরল মানুষের সরলতার অন্ধ কুসংস্কার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ভন্ড কবিরাজ এই প্রতারণা করে আসছে। কবিরাজ হায়দার ও ইসমাইলের বিভিন্ন ভাড়া করা এজেন্ট দ্বারা দূরদূরান্ত থেকে রোগী সংগ্রহ করে তার বাড়িতে জ্বীনের আসর বসিয়ে চিকিৎসা দেন সকল রোগের।
জ্বর,ঠান্ডা,মাথাব্যাথা প্যারালাইসিস হৃদরোগ,হাড়ভাঙ্গা,সন্তান না হওয়া, পারিবারিক অশান্তি দূর করা, বিদেশে যাওয়ার ব্যাবস্থা করে পরকীয়া প্রেমের আশক্তি দূর হওয়া,চুরি হয়ে যাওয়া টাকা পয়সা ফিরে পাওয়া সম্পত্তি ফিরে পাওয়া সহ অসংখ্য জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা এবং সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে এই ভন্ড প্রতারক হায়দার ও ঈসমাইল কবিরাজ। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায় দুই কবিরাজ চিকিৎসা নেওয়া ব্যাক্তিদের তেল পানি পড়া বাবদ ৫০০, ১০০০ টাকা হাদিয়া, নিয়ে থাকেন শাড়ি, লুঙ্গি, সোনার গহনা হাঁস, মুরগি গরু-ছাগল।
স্থানীয়সূত্রে আরও জানা যায়, হায়দার কবিরাজ জ্বীন দ্বারা যাদুবিদ্যা দিতে গিয়ে তিনি মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরানশরীফের বিভিন্ন আয়াত বিনা অজুতে অপবিত্র থাকা অবস্থায় ভুলভাল তেলাওয়াত করে দোয়া,দরুদ করে থাকে।এছাড়া হিন্দু ধর্মালম্বীদের দেব,দেবীর নানা রকম বাণী অর্চনা করে পূজা করেন। দুই কবিরাজ দুই রকম ধর্ম ব্যবহার করে ভুল চিকিৎসা দেওয়ায় কারণে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান এলাকার সচেতন মহলের অনেক মানুষ।
গোপন সংবাদে অনুসন্ধানে যাওয়া হয় মোঃ হায়দার আলী কবিরাজের বাড়িতে দেখা যায় তিনি একজন ভন্ড ও প্রতারক কবিরাজি করে কিনেছেন জমিজায়গা ও গড়েছেন বাড়ি।
যাওয়া হয় আর এক ভন্ড কবিরাজ মোঃ ইসমাইল হোসেন কবিরাজ এর বাড়িতে অনুসন্ধান করে দেখা যায় তিনিও একজন ভন্ড ও প্রতারক কবিরাজ। দীর্ঘদিন কবিরাজি করে কিনেছেন জমি যায়গা ও গড়েছেন বাড়ি।
স্থানীয়রা ভন্ড কবিরাজ হায়দার ও ইসমাইলের অপচিকিৎসা বন্ধ করার লক্ষ্যে দ্রুতই কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এবং জেলা সিভিল সার্জন ব্যাবস্থা করবেন বলে আশা করেন স্থানীয় সচেতন মহল।