হাসান আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন নাসিক ৫নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ বাজারের শ্মশানঘাটের নামতে রাস্তার পাশে শীতলক্ষ্য নদীর তীরে ফেলা হচ্ছে ময়লা।
শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে নাসিক ৫ নং ওয়ার্ড এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ময়লা-আবর্জনা নদী ও নদীর তীরে ফেলা হচ্ছে। গৃহস্থালির ময়লা-আবর্জনা স্তূপ হয়ে আছে নদীর পাড়ে। স্তূপে প্লাস্টিকের খালি বোতল থেকে শুরু করে পলিথিন, কলার কাঁদিসহ পরিত্যক্ত নানা সামগ্রী পড়ে আছে। এতে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। আবর্জনা থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের বাসিন্দারা। নদীতীরে স্থানীয় লোকজন নিয়মিত হোটেল-রেস্তোরাঁর পচা ও উচ্ছিষ্ট খাবারসহ বিভিন্ন বাড়ি থেকে আনা ময়লা নানা রকমের বর্জ্য ফেলছেন। তীরে ফেলার কারণে এসব বর্জ্য গড়িয়ে পানিতে পড়ছে। কয়েক বছর ধরে প্রকাশ্যে এসব বর্জ্য ফেললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দূষণ রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার মোহাম্মদ আলী বলেন, নদীর পানি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে হয় আমাদের। নদীর তীরে যদি ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়, তখন পানি দূষিত হয়। পানি কেউ ব্যবহার করতে পারেন না। পঁচা দুর্গন্ধ বের হয়। এতে রোগ জীবাণুও সৃষ্টি হয়। তাই নদীর তীরের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ জরুরি প্রয়োজন।
কফি হাউজের ব্যবসায়ী মনা বলেন, যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে মশা-মাছির জন্ম হয়। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ নষ্ট হয় এবং রোগেরও সৃষ্টি হয়। তাই ময়লা পানি বা আবর্জনা ফেলার আগে পরিবেশ নিয়ে ভাবতে হবে সকলকে। সুন্দর পরিবেশ সুরক্ষা সকলের দায়িত্ব।
চায়ের দোকানদার আলী হোসেন বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার ৫ নং ওয়ার্ডের শ্মশানের রাস্তায় ও সোনামিয়া স্টুডিয়াম মাঠে নামার সময় তাকালে দেখা যায় নদীর তীরে ময়লার একাধিক স্তূপ।এই ময়লা আবার কেউ কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন। ময়লা ফেললে যেমন দুর্গন্ধ ছড়ায়, পুড়ে ফেলার সময়ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়।যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা থেকে ডেঙ্গু জন্মায়।এবার আমাদের ৫ নং ওয়ার্ডে ডেঙ্গু মৃত্যুর সংখ্যা অনেক তাই আমরা সচেতন হই।যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করি।
সিটি কর্পোরেশন নাসিক ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জি এম সাদরিল বলেন, আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষা নদীর তীরের পরিবেশ সুরক্ষায় মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে। আমাদের ওয়ার্ডে গাড়ি দিয়ে বাসা-বাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে আসে। বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন স্থাপন করা আছে। সিদ্ধিরগঞ্জ ৫ নং ওয়ার্ড এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য অতিরিক্ত ক্লিনার আছে। এরপরও এক শ্রেণির মানুষ নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দেয়। এতে পরিবেশ নষ্ট হয় ও এ ময়লা থেকে ডেঙ্গু জন্মায়।আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা যাবে না। আমরা বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনাকে আরো জোরদার করব।