শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরে গত ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগ নেই। কারণ এ বছর শেরপুর জেলার তিনটি আসনেই উৎসব মুখর পরিবেশে প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতিতেই ভোট গ্রহণ হয়েছে। সরকার ও দলকে বিব্রত করতে সাবেক এমপি আতিউর রহমান আতিক আপত্তিকর মন্তব্য করে আসছেন। তিনি বিএনপি-জামায়াতের ভাষায় কথা বলে রাস্তা অবরো ও শেরপুরকে অচল করার হুমকি দিচ্ছেন। কিন্তু একজন দূর্নীতিবাজ কোনদিনই শেরপুরকে অচল করতে পারবেননা বলে মন্তব্য করেছেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত এমপি আলহাজ্ব মোঃ ছানুয়ার হোসেন ছানু।
তিনি ২২ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে শেরপুর শহরের নিউমার্কেটস্থ তার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সাবেক এমপি আতিউর রহমান আতিক পাঁচবার এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারেনি, তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা দূর্নীতির সাথে জড়িত হয়ে নিজের এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। দলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে উল্টো তাদেরকে হেয় ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন। যে কারণে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ এবারের নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন এনেছেন। একজন হুইপ হয়ে অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ায় তরুন ও নারী ভোটাররা তাকে বয়কট করেছে। প্রশাসন শেরপুরের তিনটি আসনেই সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়েছেন। প্রশাসন সাংবাদিক ও জনগনের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
উল্লেখ্য গত ২০ জানুয়ারি শেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার পরাজিত প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক স্থানীয় উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে এক কর্মী সভায় শেরপুরে নির্বাচনে প্রশাসন অনিয়ম করেছে বলে অভিযোগ তুলেন এবং এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে অবরোধসহ শেরপুরকে অচল করার হুমকি দেন। এর জবাবে আজ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত এমপি আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন ছানু।
এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান বলেন, শেরপুর জেলায় এত চমৎকার নির্বাচনকে যে বিতর্কিত করতে চায়, তিনি সরকার ও দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে আমরা মনে করি। কাজেই আতিউর রহমান আতিক দলের জেলা কমিটির সভাপতির যোগ্যতা হারাচ্ছেন।
এসময় শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, সাবেক সহ-সভাপতি মোছাদ্দেক ফেরদৌসী,সুব্রত কুমার দেবা বানু, সাবেক প্রচার সম্পাদক দেবাশীষ ভট্টাচার্য, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, জেলা যুবলীগ সভাপতি ও কামারেরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব,সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, জেলা পরিষদ সদস্য ফারহানা পারভীন মুন্নী, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।