![](https://bd-sokal.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিএসএফর গুলিতে নুর জামাল (৪০) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার ২২ অক্টোবর দিবাগত শেষ রাতে উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই বিওপি সীমান্তের ৩৮২/৩ এস পিলার থেকে ২০০ গজ ভারতের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরজামাল উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের দক্ষিণ মেদ্যাপাড়া গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দীনের ছেলে।
ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল তানজীর আহম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো বলেন,“জানতে পেরেছি নুরুজ্জামান ভারত থেকে গরু চোরাকারবারীর মাধ্যমে গরু আনতে যান। এ সময় বিএসএফের গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হচ্ছে।”
আমজানখোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকালু বলেন, ‘নুর জামাল গরু চোরাকারবারীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ভোরে তাকে ভারত সীমান্তের মধ্যে গুলি করে বিএসএফের সদস্যরা। মরদেহ ভারতের বিএসএফ ১৫২ সোনামতি ক্যাম্পে রয়েছে।’
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, রোববার ভোর রাতে নুর জামালসহ পাঁচ-ছয়জন গরু আনার জন্য রত্নাই সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন। এ সময় আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই বিওপি সীমান্তের ৩৮২ / ৩ এস পিলার থেকে ২০০ গজ ভারতের ভেতরে গেলে ভারতের সোনামতি বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান নুর জামাল। বাকিরা পালিয়ে আসেন।
রত্নাই কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল জলিল বলেন, নুর জামালের লাশ রাতেই নিয়ে গেছে ভারতের সোনামতি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা।
এদিকে লাশ ফেরতের জন্য আজ সোমবার দুপুরে ভারতের সোনামতি বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সন্দীপ কুমারের সঙ্গে রত্নাই এলাকার সীমান্ত পিলার ৩৮২ / ৩ এস থেকে ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মারাধর এলাকায় বিজিবির সদস্যদের পতাকা বৈঠক হয়েছে। পতাকা বৈঠকে থাকা বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. শামসুল আলম জানান, গুলিতে নিহত এবং লাশ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিএসএফের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হলেও লাশ ফেরত দেওয়ার সময় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।