এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও: দীর্ঘদিন ধরে ঈদগাঁওর মাইজ পাড়ার খালটি পুনঃ খনন না করায় বর্ষা মৌসুমে খালপাড়ে অবস্থানরত লোকজনকে চরমভাবে ভোগান্তি পড়তে হয়। বসতবাড়ির উঠানসহ চলাচল রাস্তা প্লাবিত হয়ে পড়ে।
কক্সবাজারে ঈদগাঁও মাইজ পাড়ার এই খালের উপর পাকা দালানসহ দোকান পাঠ নির্মাণের হিড়িক চলছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে খালের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলেও আশঙ্কা করেন।
২৯ ও ৩০ জুন দুইদিন টানা বৃষ্টিপাতে দখলের থাবায় বন্দী থাকা উক্ত খাল দিয়ে পানি চলাচল করতে না পারায় খালের এ পাশের বসতবাড়ির উঠানসহ চলাচল সড়কে হাঁটু পরিমান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েন। এসব যেন দেখার কেউ নেই।
প্রবীণদের মতে, এই খাল দিয়ে এক সময় পাল তোলা নৌকা চলাচল করত। কিন্তু সময় ও সুযোগে কালো থাবায় খালের অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে। এমনকি চলছে একের পর এক খাল দখলের মহোৎসব। কালের পরিক্রমায় সেই নদীর বুকে এখন পাকা-আধাপাকা দালানের মহাসমারোহ। দখলের কারণে এসব খাল এখন নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে।
দেখা যায়, ঈদগাঁও মেহেরঘোনা জলনাসী যেটি উত্তর,মধ্যমও দক্ষিন মাইজ পাড়া হয়ে চৌফলদন্ডীর বুক চিরে মহেশখালী চ্যানেল দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এখন এ খাল বেদখল, পানি ও মাছ শূন্য। ক্ষীণ ধারা বয়ে যাওয়া খালের পাশঘেশে গড়ে উঠে দোকান পাট ও পাকা দালান।
জানা যায়, ঈদগাঁওর মাইজ পাড়ার খালটি বর্তমানে ভরাট বললে চলে। খাল দখলমুক্ত করে খনন করা না হলে আগামীতে এসব খালের কোন স্মৃতি চিহ্নও খোঁজে পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন এলাকার বয়োবৃদ্ধ লোকজন। বর্ষা মৌসুমে লোকজনকে অতি কষ্টের বিনিময়ে দিন কাটাতে হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকার লোকজন।
ঈদগাঁও ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বজলুর রশিদ জানান, খালটি খনন করে পানি চলাচলের সু-ব্যবস্থার জোর দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।