স্টাফ রিপোর্টার :
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়িতে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী মধু মেলায় স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যায় সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হন। তাদের মধ্যে চারজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিংড়া গ্রামের মজিদ সানার ছেলে সোহেল মোটরসাইকেল নিয়ে মেলার মূল মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করেন। চিংড়া রোডের মিজানুর রহমানের গ্যারেজের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে তাকে থামানো হয় এবং মেলার ভেতরে মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে নিষেধ করা হয়। সোহেল নিষেধাজ্ঞা মানতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে মিজানের লোকজনের সঙ্গে সোহেলের কথা-কাটাকাটি হয়, যা এক পর্যায়ে মারামারিতে রূপ নেয়।
এরপর সোহেল মোবাইলে কল দিযে চিংড়া গ্রামের আবু সাইদ, সিরাজসহ ২০-২৫ জনকে ডেকে আনেন। তারা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে মিজানের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় মমিন, আমিনুর, আব্দুর রউফ, আলিম দফাদার এবং হৃদয় আহত হন। মমিনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘটনার পর মেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দর্শনার্থীরা মেলা না ঘুরেই তড়িঘড়ি করে বাড়ি ফিরে যান।
মধুমেলার ইজারাদার ও সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, “এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। মধু মেলার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। সোহেলের মোটরসাইকেলটি মেলা কমিটির কাজে ব্যবহৃত হয় এবং তাতে স্টিকার লাগানো ছিল। আমার মেয়েকে বাড়িতে দিয়ে আসতে গিয়েছিলো মোটরসাইকেলে করে। ফিরে আসার সময় এ ঘটনা ঘটেছে। মেলার মাঠের বাইরে কপোতাক্ষ নদের দিকের ঘটনা এটা, মেলা সংশ্লিষ্ট কিছু্ই না।”
কেশবপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, “মেলার নির্ধারিত সীমানার মধ্যে মোটরসাইকেল প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু সোহেল তা না মানায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আহতদের মধ্যে একজন কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বাকিদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মধু মেলার মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এমন সংঘর্ষ দুঃখজনক। এ ঘটনায় আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।