আবু সুফিয়ান পারভেজ, ভূরুঙ্গামারী কুড়িগ্রাম॥ মধ্য পৌষে তীব্র শীত জেঁকে বসেছে সমগ্র উত্তরবঙ্গসহ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলাসহ এর আশেপাশে। গত কয়েক দিন থেকেই ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরের ঠান্ডা বাতাসে বিপর্যস্থ হয়ে পরে জনজীবন। হঠাৎ শীতের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। ঠান্ডা বাতাস কাবু করে ফেলছে সাধারণ মানুষকে। সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগে পরেছে চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
হঠাৎ করে শীত শুরু হওয়ায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের গরম কাপড় কিনতে ভীড় করছেন কমদামী কাপড়ের দোকান গুলোতে।
একের পর এক কাপড় গায়ে দিয়ে পছন্দ করছেন ক্রেতারা। কাপড় পছন্দ হলে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে শুরু হয় দর কষাকষি। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এসব কমদামের কাপড় দিয়ে শীত মৌসুম পার করতে চাইছেন।
শীতের কাপড় কিনতে আসা ক্রেতা জসিম উদ্দিন ও ছালাম মিয়া জানান, ঠান্ডা পড়ায় শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। এসব দোকানে সাধ্যের ভেতর অনেক ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। নতুন কাপড়ের দোকানে শীতের কাপড়ের দাম একটু বেশি। কিন্তু পুরাতন কাপড়ের দোকানে কম মূল্যে তা পাওয়া যায়। দামও হাতের নাগালে।
কাপড় বিক্রেতা আরাফাত হোসেন জানান, গত বছরের চেয়ে এবার পুরনো কাপরের দাম বেশি। এর আগের থেকে প্রতিটি গাইটে গড়ে আড়াই থেকে চার হাজার টাকা পর্য়ন্ত দাম বেড়েছে। আমরা বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করার কারনে বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে। বেশি দামে বিক্রি করতে গেলে ক্রেতারাও কিনতে চায় না। আবার যাদের কাছ থেকে পুরোনো কাপড় ক্রয় করেন তারা প্রত্যেকটা গাইট খুলে আগেই ভালো কাপড় গুলো রেখে দেয়। বুজে উঠতে পারছেন না এ বছর কিভাবে ব্যাবসা করবে?
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, উপজেলায় প্রথম পর্যায় ৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে যা ১০টি ইউনিয়নে ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।