আব্দুর রহমান : পঞ্চগড়ের বোদা উপজলার নিম্ন মাধ্যমিকের গন্ডি না পেরিয়েই সিজারিয়ান সহ অন্যান্য অপারেশন করছেন কমল নামে এক ব্যক্তি৷ কমল চন্দ্র উপজেলার জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন পদে কর্মরত। জানা যায়, তিনি এই ক্লিনিকের একাধারে ম্যানেজার, শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া অপারশেন থিয়েটার’র (ওটি) ১ম ও ২য় এ্যাসিস্ট্যন্ট ও সার্জারী ডাক্তারও বটে।
গোপন সূত্র জানায় তিনি এসএসসিও পাশ করেননি। সম্প্রতি এক ভিডিও হাতে এসেছে এ প্রতিবেদকের কাছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কমল ওটি রুমে এক রোগীর সিজারিয়ান অপারেশন করছেন।
অনেকের নানান অভিযোগের পেক্ষিতে রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. লুৎফুল কবীর জননী ক্লিনিকে যান। এক্সরে মেশিনের রঞ্জন রশি দ্বারা সাধারণ রোগী ও জনগনের ক্ষতি ও কাঁচের গেট থাকায় আপাতত এক্সরে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তবে কমলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
ভিডিও সূত্রে রোববার বিকেলে জননী ক্লিনিকে গেলে মালিক অশেষ কুমার প্রধান বলেন, কমল এখানে ওটি’র ২য় এ্যাসিস্টেন্ট ও ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। তার ডিএমএফ সার্টিফিকেট আছে। কিছুক্ষণ পরেই সেখানে কমল এলে এখানে কি পদে দায়িত্বে আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১ম ও ২য় ওটি এ্যাসিস্টেন্ট এবং ম্যানজোর হিসেবে আছি।
সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে কমল বলেন, পাচঁপীর বৈরাতী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়েছি। অভিজ্ঞতা আছে সে হিসেবে কাজ করছি।
সূত্র জানায়, জননী ক্লিনিকে অবিবাহিত মেয়েদের গর্ভপাত, ওটি রুমের চারটি বাল্ব নষ্ট, জনবল সংকট, নেই ডিপ্লোমা নার্স ও সার্বক্ষনিক ডাক্তার এবং কাগজপত্র ছাড়াই র্দীঘদিন ধরে ক্লিনিকটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। মাসখানেক আগে ময়দানদীঘির সরকারপাড়ার ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া এক মেয়ের গর্ভপাত করানো হয় ঐ ক্লিনিকে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. লুৎফুল কবীর বলেন, জননী ক্লিনিকের শতভাগ কাগজপত্র ঠিক নাই। উক্ত ক্লিনিকে অবিবাহিত মেয়েদের অবৈধ গর্ভপাত ঘটানো ও কমল বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।