নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া॥ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হতদরিদ্রদের মাঝে প্রতিজন কে ১০ কেজি করে চাউল প্রদান করা হয়। ঈদুল ফিতরের আগেই হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় সরকারি ভিজিএফের চাউল। কিন্তু সেই হতদরিদ্র পরিবারের ৪ বস্তা চাউল মিললো পরিষদের পার্শ্ববর্তী বাড়ি থেকে।
অনুসন্ধানে যেয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ১নং সাফদারপুর ইউনিয়ন’এ পরিদর্শনে আসছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমন সংবাদ পেয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান হতদরিদ্র পরিবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বরাদ্দের ৪ বস্তা চাউল এর মধ্যে তড়িঘড়ি করে ২ বস্তা চাউল আম জনতার মাঝে বন্টন করে দেয়।
এদিকে অপর ২ বস্তা চাউল পরিষদের হলরুম থেকে চেয়ারম্যান সহ ৩ জন গ্রাম পুলিশ খলিলুর রহমান, যাদব, আঃ রাজ্জাকের মাধ্যমে লুকিয়ে রাখতে কাউন্সিল এর পার্শ্ববর্তী মোঃ ইকবাল পিতা মোঃ আঃ ছাত্তার এর বাড়ি নিয়ে যায়। হতদরিদ্র পরিবারের ঈদুল ফিতরের চাউল এভাবে চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত ভাবে আত্মসাৎ করতেই তড়িঘড়ি করে লুকাতে গেলে জানাজানি হয়। চেয়ারম্যান হতদরিদ্র পরিবারের চাউল এর লোভ সামলাতে না পারায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
চেয়ারম্যান ও তার গ্রাম পুলিশ চাউল রাখার বিষয়ে বাড়ির মালিক ইকবালের স্ত্রী জানান চেয়ারম্যান ও তিন জন গ্রাম পুলিশ আমার বাড়ি (২ মে) মঙ্গলবার আনুমানিক বেলা ১১ টা ৩০ মিনিটের সময় ২ বস্তা চাউল রেখে যায়। সেই চাউল (৩ মে) বুধবার ভোর বেলা চেয়ারম্যান নিজে নিয়ে যায়।
পরিষদের তিন জন গ্রাম পুলিশের কাছে ইকবালের বাড়ি চাউল রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের বলে নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদে আসছে, তাড়াতাড়ি ইকবালের বাড়িতে চাউলগুলো রেখে আসো। আমরা চেয়ারম্যান এর আদেশ পালন করেছি এতে আমাদের কি করার আছে।
পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোন ঘটনা আমার পরিষদে ঘটেনি।
এবিষয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে,র নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন। আমি শুনেছি তবে অফিস থেকে লোক পাঠিয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেওয়া হবে। জব্দকৃত চালের পরিমান ও অবস্থান জানতে চাইলে বলেন এখন না পরে জানানো হবে।