নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি চলাকালে আ.লীগ কার্যালয় ভাংচুর, এমপি’র বাড়িতে আগুন ও এক পথচারী নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২ জুলাই) বিকালে এ সংঘর্ষের সময় শহরের টাউন হল রোডে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।
এ ছাড়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। বিক্ষুব্ধরা হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় বাসার সামনের গ্যারেজে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল ও গাড়ি ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুর করা হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে নিহত হন মোস্তাক মিয়া (৩০)। তিনি পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিজিবি) ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। তার বাড়ি সিলেটের টোকের বাজার।
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মমিন উদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রবেশ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহস্রাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, জুমার নামাজের পর থেকেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।