
মোঃ রুহুল আমিন পারভেজ, জয়পুরহাট :
ফিলিস্তিনে মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ জেলার বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) জুম্মার নামাজ শেষে শহরের জিরো পয়েন্ট পাঁচুরমোড় (শহীদ বিশাল চত্বর) থেকে জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ সমবেশ করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ, সহকারি সেক্রেটারি হাসিবুল আলম লিটন, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জুয়েল হোসেন প্রমুখ।
এদিকে, একই প্রতিবাদে জয়পুরহাটের কালাইয়েও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় কালাই আন নাজাত ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বগুড়া-জয়পুরহাট আঞ্চলিক সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে কালাই বাসস্ট্যান্ড চত্বরে একটি সমবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কালাই আহলে হাদিস মসজিদের ইমাম মাওলানা সেলিম রেজার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন পুর এমইউ ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ সাহেব আলী, কালাই বিএম কলেজের অধ্যক্ষ তাইফুর ইসলাম ফিতা, জামায়াতের উলামা মাশায়েখ সভাপতি মাওলানা মোজাফফর হোসেন, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী প্রমুখ।
অপরদিকে, পশ্চিমা বিশ্বের প্রত্যক্ষ মদদে ফিলিস্তিনে ইসরাইয়েল কর্তৃক চলমান গণহত্যা ও ভারতীয় সরকারের মদদে ভারতীয় মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইদিনে বাদ জুম্মা সংগ্রামী তাওহীদি জনতা পাঁচবিবি’র ব্যানারে বায়তুন নুর জামে মসজিদের উত্তর গেইট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদিক্ষণ করে।
এসময় বায়তুন নূর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মুয়াজ্জিন হাফেজ মাওলানা জামিল হোসেন, হাফেজ আবু হাসান, সড়াইল কলেজের প্রভাষক শাহাজান আলী ও জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন ফকির প্রমুখ।
এছাড়াও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে আক্কেলপুর ছাত্র সমাজ ও মুসলিম তৌহিদী জনতা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে যে বর্বর হামলা চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই এবং একইসাথে এ হত্যাকাণ্ডের হিসাব জাতিসংঘকে দিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা ১৬ মাসে ইসরায়েল ১৮ হাজারেরও বেশি শিশুসহ ৪৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিককে শহীদ করেছে। এ ছাড়া ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি মানুষকে আহত করেছে।