এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও॥ নতুন ধানের মুহুমুহু গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার প্রত্যান্ত পাড়া মহল্লা। নতুন ধানের চালে পিঠা তৈরীর হিড়িক চলছে ঘরে ঘরে। এরই ফাঁকে বৃহত্তর ঈদগাঁও প্রত্যান্ত এলাকাতে দেখা দিয়েছেন নবান্নের আমেজ। মজাদার পিঠার আনন্দ চলছে প্রায় পরিবারে। ফসলী জমি থেকে নতুন ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছে কৃষকরা।
পাড়া মহল্লা জুড়ে নতুন ধানের চাল দিয়ে পিঠা পুলি পায়েশ-পোলাও আর নতুন চালের আটা গুড়সহ কলা দিয়ে সিরনি তৈরী করে আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে খাবার ধুম। নবান্ন ছাড়া কনকনে শীতে প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন জন নতুন চাল দিয়ে হরেক রকমের পিঠা তৈরী করে শীত পিঠার আয়োজন করে।
পাশাপাশি জেলার ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টসহ উপবাজার সমুহে ভাপাপিঠা বানানোর ধুম পড়েছে। দাম যেন আকাশচুম্বি। বাস স্টেশন পয়েন্টের পিঠা ব্যবসায়ী জানান, দৈনিক ৭/৮ শত টাকার ভাপাপিঠা বিক্রি করা হয়। মিঠাযুক্ত একটা পিঠা দশ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনার যু্বক জানান, শীত মৌসুমে পিঠার মহাউৎসব যেন পাড়া মহল্লা জুড়ে। বাড়ীতে নতুন ধানে ঐতিহ্যবাহী ভাপাপিঠা তৈরী প্রস্তুতি চলছে।
মাইজ পাড়ার এক মুরব্বী জানান, নতুন চালের শীতের ভাপাপিঠা দিয়ে বেয়াই বেয়াইনসহ মেয়ে ও জামাইকে আমন্ত্রন জানানো হয়। শীতপিঠা তৈরী না করতে সে শীতের অপূর্ণতা থেকে যায়। নবান্ন উৎসব ও পিঠা তৈরী চলছে ঘরে ঘরে।
সাবরিনা নামের গৃহবধু জানান, চলতি শীতে নতুন চালের ভাপা পিঠা তৈরী করে পরিবারের সবাইকে শীতপিঠা খাওয়ানো হয়।