কলকাতা থেকে মনোয়ার ইমাম : অনেক বাঁধা ও বিড়ম্বনা টপকে প্রায় প্রায় পঁয়তাল্লিশ হাজার মানুষের উন্নয়ন ও পরিষেবা দিতে এগিয়ে এসেছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাসকিনা মমতাজ। তিনি ভারত ও পশ্চিম বাংলা সরকারের দেওয়া বিভিন্ন খাতে র প্রায় দুই কোটি চল্লিশ লাখ টাকার কাজ করছেন। এই গ্রাম পঞ্চায়েত টি পশ্চিম বাংলার বিরলতম গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একটি। কারণ সারা পশ্চিম বাংলায় যখন তৃনমূল দলের ঝড় উঠেছে। ঠিক সেই সময় তৃনমূল দল কে পরাস্ত করে এই উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস সদস্যরা।
এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ২৯জন। তার মধ্যে তৃনমূল দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২ জন সদস্য। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর সদস্য নির্বাচিত হন ১১জন। আই এস এফ দলের পক্ষ থেকে নির্বাচিত হন ৪ জন। নির্দল একটি এবং সি আই এম পায় একটি। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর যাদু কাঠিতে ইতিহাস গড়ে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল করে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস।
পরিশেষে তৃনমূল দলের একটি লবি ইজ্জত রক্ষা করতে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর প্রধান কে খোলাখুলি সমর্থন করে। এর পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি এই মগরাহাট পশ্চিম এর সাবেক বিধায়ক ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেস নেতা প্রায়ত আবুল বাশার লস্কর স্ত্রী ভারতের জাতীয় কংগ্রেস পশ্চিম বাংলার অন্যতম লড়াকু নেত্রী মাসকিনা মমতাজকে। কারণ জেলা পরিষদ ও বিধায়ক এবং এম পি ও পঞ্চায়েত সমিতির দখল তৃনমূল দলের। কিন্তু শত বাঁধা কাটিয়ে প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষের পরিষেবা প্রদানকারী প্রধান কে হারাতে পারেনি। তিনি পানীয় জলের জন্য চারটি এ টি এম পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন এবং রাস্তা ঘাট ও জল নিস্কাসনের ব্যবস্থা করেন।
দাঁড়িয়েছেন গরীব মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য মহিলা ও শিশুদের পাশে। মিড ডে মিল ঠিক ঠিক পরিবেশন হচ্ছে কি না তার উপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। গরীব মানুষের ঘরবাড়ি তৈরি করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাস্তা ঘাট মেরামত ও নতুন রাস্তা তৈরি কাজ করে যাচ্ছেন।তার জন পরিষেবা চালু করতে অনেক সময় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় নিজের দলের পক্ষ থেকে। কখনো আবার বিরোধী দল তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে। কিন্তু সকল বাঁধা কে উপেক্ষা করে জন পরিষেবা দিতে সকলকেই ফেলে এগিয়ে চলেছে উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাসকিনা মমতাজ।