নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া॥ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় ঘন কুয়াশার কারণে আলুর আবাদ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। গত কয়েকদিন থেকে শীতের প্রকোপের পাশাপাশি কুয়াশা পড়ছে। এই কুয়াশা আলুর জন্য ক্ষতিকারক।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এই আবহাওয়ায় আলুর জন্য তেমন ক্ষতিকারক নয়। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলার আলু চাষি শিবনগর লক্ষিপুর গ্রামের সৈকত আলী ও বলোরাম নগর গ্রামের আব্দুর সালাম সহ অনেকেই কুয়াশাজনিত কারণে আলুর আবাদ নিয়ে চিন্তিত বলে জানান। তারা জানান, ঘন কুয়াশার পর রোদ উঠলে আলু ক্ষেতে পচন রোগের শঙ্কা রয়েছে।
দয়ারামপুর গ্রামের আলু চাষি সাইদুর মাস্টার বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছি। বিঘা প্রতি জমিতে কীটনাশক, সার, বিজ, জন, সেচ দিয়ে খরচ হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। উৎপাদন হয় ৮০ থাকে ১০০ মন। বাজার দরের উপর নির্ভর করে লাভ লস। এবার কৃষি অফিসের দেওয়া আলুর বীজ তেমন ভালো না। আমার অধিক অংশ জমিতে চারা বের হয়নি। লাভের মুখ দেখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। আলুর বয়স এক থেকে দেড় মাস হয়েছে। এই অবস্থায় পচন রোগ হলে ক্ষতি সামাল দেয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে বলে তারা মনে করছেন।
কোটচাঁদপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৮০ হেক্টরের জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রার শতভাগ পুরোন হয়েছে বলছেন কৃষি অফিস। কিছুটা বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষকরা নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে ক্ষেত পরিচর্যায় নেমে পড়েছেন। আগাম আলুতে খুব একটা লাভ করতে পারেননি আলু চাষিরা। এখনো অনেক হিমাগারে আলু সংরক্ষিত রয়েছে। এমন অবস্থায় বাড়তি খরচের বোঝা নিয়ে আলু চাষ হলেও কুয়াশার বিষয়টি আবারও দুঃচিন্তার কারণ হয়েছে কৃষকদের। ঠান্ডা আবহাওয়া আলু চাষের জন্য উপকারিতা হলেও কুয়াশা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
যে কারণে গত কয়েকদিনের শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্বিগ্ন কৃষকরা। শৈত্য প্রবাহ শুরু হলে আলু চাষিদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিবে।
এদিকে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা চাষিদের উদ্বিগ্ন না হয়ে নিয়মিত পরিচর্যা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।কৃষিবিদদের পরামর্শ আগাম আতঙ্কিত হয়ে কীটনাশক ব্যবহার করা হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। যখন কোন প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা দিবে তখনই নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসীন আলী বলেন,বর্তমান যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে আলুর ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা নেই।এছাড়া মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।