নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া॥ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে প্রতারনার শিকার বিকাশ এজেন্ট রফিকুল ইসলাম। খুইয়েছেন এক লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা, বিচারের আসায় ঘুরছেন পথে পথে।
পৌর শহরের সলেমানপুর শেখপাড়ার রফিকুল ইসলাম থানার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, প্রতিবেশী সলেমানপুর পালপাড়ার মোঃ সিহাব উদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ উর্মিলা খাতুন (২১) ও পরিবারের লোকজন আমার দোকানের নিয়মিত লেনদেনকারী। গত ১৪/১১/২২ইং তারিখ ১১ টার দিকে আমার নগদ ও বিকাশের দোকানে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য আসে। টাকা পাঠানোর জন্য উর্মিলা ৭টি মোবাইল নম্বর দেয়। টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে আমি তাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসা করতে থাকি এবং বলি টাকা দেন। উর্মি আমাকে বলে আমার ব্যাগে টাকা আছে আপনি ওই নম্বরে টাকা দিতে থাকেন আমি একবারে টাকা হিসাব করে দিচ্ছি। আমি আমার বিকাশ নাম্বার হইতে পর্যায়ক্রমে ০১৮৯৩-৬৮৯২৫৮ এ নম্বরে ২৪,৫০০ টাকা,বিকাশ ০১৮৩৩-৪৯৭৮৮৪ এ নম্বরে ২৪,০০০ টাকা, নগদ ০১৮৫-৫৬৫৬০৩০ এ নম্বরে ২০,৫০০ টাকা, বিকাশ ০১৮৫৫-৬৫৬০৩০ এ নম্বরে ২৪,৫০০ টাকা, বিকাশ ০১৬১৫-৬৪৬৭০২ এ নম্বরে ২৫,০০০ টাকা, বিকাশ ০১৯৬৬-৫৯২১৩৭ এ নম্বরে ২৫,০০০ টাকা ও নগদ ০১৯৬৬-৫৯২১৩৭ এ নম্বরে ২৫,০০০ টাকা। সাতবার পর্যায়ক্রমে সর্বমোট ১,৬৪,৯০০ টাকা উর্মিকে প্রদান করি। টাকা পাঠানোর পর আমার প্রাপ্য টাকা উর্মির কাছে চাইলে উর্মি ফোনে কথা বলতে বলতে টাকা না দিয়ে আমার কথা না শুনে বাড়ির দিকে চলে যেতে থাকে। আমি তাকে ডাকার পর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার পাশের লোকজন জড়ো হয় এবং আমার পাশের প্রতিবেশী দোকানদার লিটন মালাকার, লিটন রবি দাস সহ আরো অনেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিছুক্ষন পর উর্মির অভিভাবকরা এসে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাই। ঘটনার ঐদিনই ১২ টার দিকে উর্মির পরিবারসহ সিজু নামের এক ব্যক্তি কোটচাঁদপুর সার্কেল অফিসে আমাকে সাথে করে নিয়ে যাই। সার্কেল স্যার উক্ত ঘটনার টাকার বিষয়ে উর্মির কাছে জানতে চাইলে উর্মি সত্য ঘটনা স্বীকার করে এবং বলে আমি রফিকুলের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে ৭টা নম্বর হইতে ১,৬৪,৯০০ টাকা নিয়েছি। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য রফিকুল ইসলাম কোটচাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর মডেল থানার এস আই মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।