শাকিল হাসান, জামালপুর॥ জামালপুরে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের চাঞ্চল্যকর মামলার যুক্তিতর্ক চলছে। ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের (ধারা ২৫-খ) অবৈধ ভাবে আমদানি নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেটের বড় চালানসহ ডিবির হাতে আটক হয় মাদক কারবারী হালিমা আক্তার মনি। ১৮/১৪ নং স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের মামলাটি বর্তমানে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে। যুক্তিতর্ক শেষে অচিরেই এই মামলার রায় হবে বলে আশা করছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৯ নভেম্বর রাতে জামালপুর জংশন রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা সহ হালিমা আক্তার মনি (২২) নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করে জেলা ডিবি পুলিশ। এ সময় হালিমার সহযোগী আরো ৬/৭ জন পালিয়ে যায়। আটককৃত হালিমা আক্তার মনি শেরপুর সদরের ভাতশালা ইউনিয়নের ছনকান্দা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের মেয়ে।
এরপর আটককৃত ওই নারীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সে এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-খ ধারায় একটি নিয়মিত মাদক মামলা রুজু করে এবং আসামী হালিমা আক্তার মনিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, হালিমা আক্তার মনিসহ তার সহযোগীরা আন্তর্জাতিক মাদক কারবারীর সাথে জড়িত। তারা টেকনাফের জনৈক মাহবুবুল আলমের মাধ্যমে বার্মা-বাংলাদেশ বর্ডার দিয়ে চোরাই পথে এসব ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে আনে। দেশে আনার পর অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় জামালপুর-শেরপুর জেলায় বিক্রি করে।
বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দিতে ইয়াবা কারবারী হালিমা আক্তার তার দোষ স্বীকার করে বলে, আমি রাত ১২ টার সময় যমুনা ট্রেনযোগে জামালপুর জংশন রেল স্টেশনে পৌছলে ডিবি পুলিশ আমাকে ডেকে রেলওয়ে থানাতে নিয়ে যায় এবং আমার নাম ঠিকানা ও কোথা হতে এসেছি এসব জানতে চায়। এসময় আমার হাতে থাকা ব্যাগ ডিবি স্যারের হাতে দেই। ডিবি স্যার সেই ব্যাগ খুলে একটা প্যাকেট বের করে এবং সেই প্যাকেটের মধ্যে ৪ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
আদালতের পিপি এডভোকেট আবুল কাশেম জানান, মাদকের চাঞ্চল্যকর মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন আছে। মামলাটি যুক্তিতর্কের পর অচিরেই রায় হবে বলে আশা করছেন। চলতি মাসের ২৮ তারিখ মামলাটির যুক্তিতর্কের তারিখ রয়েছে। বর্তমানে এই মামলার আসামীরা জামিনে রয়েছে।
বিজ্ঞ আদালতে যুক্তিতর্ক শেষ হলেই চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় হবে বলে সরকার পক্ষের আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে।