রতন দে, মাদারীপুর প্রতিনিধ॥ মাদারীপুরের ডাসারে মেয়ের বিয়ের বয়স হলেও বিয়ে বন্ধও এক ঘন্টার মধ্যে গেট ভাঙ্গার নির্দেশ দিলেন ডাসার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীন। মেয়ের পরিবারের লোকজন বলেন বিয়ের বয়স হয়েছে এবং জন্মনিবন্ধন মেয়ের কাছে, সে ঢাকা থেকে নিয়ে আসবে। গত সোমবার ৫ ডিসেম্বর সকালে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়,ডাসার উপজেলার ডাসার গ্রামের মোঃ রুহুল আমিন মাতুব্বরের মেয়ের বিয়ের বয়স আঠারো হলে, তার পরিবারের লোকজন পারিবারিক ভাবে পাত্র পছন্দ করে আগামী কাল বুধবার বিয়ের দিন ধার্য করেন এবং সব আয়োজন প্রায় সম্পন্ন করেন। অতঃপর গত সোমবার সকালে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীন তার প্রতিনিধি হিসেবে বিয়ে বাড়িতে ডাসার ইউপি সচিব সুশান্ত বৈদ্যকে বিয়ে বন্ধ করার জন্য পাঠান। ইউপি সচিব বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং তার মুঠোফোন দিয়ে ডাসার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সজিব মাতুব্বরকে ইউএনওর সাথে কথা বলিয়ে দেন।
সে সময় ইউএনও মেম্বার সজিব মাতুব্বরকে এক ঘন্টার মধ্যে বিয়ের গেট ভাঙ্গার নির্দেশ প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন বলেন, আমাদের বাড়িতে বিয়ে বন্ধ করার জন্য ইউএনওর লোক আসে এবং মেয়ের বয়সের কাগজ দেখতে চায়। আমরা তাদেরকে অনুরোধ করে বলি, আমার মেয়ে ঢাকা একটি কওমী মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেন। তার জন্মনিবন্ধনে বয়স আঠারো হয়েছে। কিন্তুু জন্মনিবন্ধনের কাগজ মেয়ের কাছে আছে, সে ঢাকা থেকে নিয়ে আসতেছে। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে বিয়ে বন্ধ এবং বিয়ের গেট ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়ে যায়। পরে তাদের কথামত বিয়ের গেট ভেঙ্গে ফেলী।
ইউপি সদস্য সজিব মাতুব্বর বলেন, ইউপি সচিবের মুঠোফোনে ইউএনও আমাকে একঘন্টার মধ্যে বিয়ের গেট ভাঙ্গার নির্দেশ দেন ও বিয়ে বন্ধ করতে বলেন।
ডাসার ইউপি সচিব সুশান্ত বৈদ্য বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে আমি বিয়ে বাড়ি গিয়ে মেয়ের পরিবারের কাছে মেয়ের জন্মনিবন্ধনের কাগজ দেখাতে বলি,কিন্তু তারা জন্মনিবন্ধনের কাগজ দেখাতে পারে না বিদায়,বিয়ের গেট ভাঙ্গতে ও বিয়ে বন্ধ করতে বলে আসি।
ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীন বলেন, আমি বিয়ে বাড়িতে লোক পাঠিয়ে ছিলাম, তারা কাগজ দেখাতে পারেনি বিধায় বিয়ে বন্ধ ও গেট ভাঙ্গার কথা বলা হয়েছে। কাগজ না দেখাতে পারলে, মুখের কথা কি বিশ্বাস করা যায়। কাগজে বয়স হলে সমস্যা নাই।