
ক্রাইম ডেস্ক॥ পিবিআই রংপুরের তৎপরতায় অতি দ্রুতই অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হলো, জট খুলে গেল নীলফামারী সদর থানাধীন গৌড় গ্রাম ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ বাজারের পাশে পড়ে থাকা অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয়।
ঘটনাটি শুরু ১৯শে জানুয়ারি শুক্রবার, সকাল বেলা নীলফামারী সদর থানাধীন গোড় গ্রাম ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ বাজারের পাশে পড়ে থাকা অজ্ঞাত নামা লাশকে ঘিরে।
পিবিআই রংপুর সুত্রে জানা যায়, অজ্ঞাতনামা লাশের (ছেলেটির) বয়স আনুমানিক ২৫-২৬ বছর। নীলফামারী জেলা পুলিশ লাশের সুরতহাল করে লাশ সনাক্ত করতে না পেরে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার করে। প্রচারের ফলে কোন কাজ না হলে, পরবর্তীতে পিবিআই রংপুরকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক পিবিআই রংপুরের সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব এবিএম জাকির হোসেন(পিপিএম) মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন রংপুরের ফিঙ্গারপ্রিন্ট টিমকে উন্নত প্রযুক্তি ফিঙ্গারপ্রিন্ট (Fivs) মেশিনসহ নীলফামারী জেলায় প্রেরণ করেন।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট (Fivs) ব্যবহার করে পিবিআই রংপুরের চৌকস টিম অজ্ঞাত লাশের হাতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে লাশ শনাক্ত করতে সমর্থ হয়। চৌকস টিমটির তথ্য মতে ছেলেটির নাম মোঃ ছামছুল রানা, পিতা: মৃত মো: ওসমান আলী, মাতা: মোছা: সুফিয়া খাতুন, সাং- আরাজী ঢাংগী পুকুর, গাড়েয়া, ঠাকুরগাঁও সদর ঠাকুরগাঁও।
পরবর্তীতে তার পরিবারকে সংবাদ দিলে তার পরিবারের লোকজন এসে লাশ সনাক্ত করে। পরিবারের তথ্যমতে ছামছুল রানা মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে।
পিবিআই রংপুরের তৎপরতায় একটি পরিবার তার হারানো মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানকে মৃত্যুর পর হলেও খুঁজে পেল।