বাগমারা প্রতিনিধি॥ রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা কোনাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার দুলুকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুত্বর আহত করার ঘটনায় বাগমারা থানা পুলিশ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে সাংবাদিকদের কাছে গ্রেফতারের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গেছে পুলিশ।
সরজোমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দিবাগত ও রাতে অভিযান চালিয়ে আব্দুস সাত্তার দুলুকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুত্বর আহত করার ঘটনায় এজাহার ভুক্ত ৯ আসামির মধ্যে জিএমবি ক্যাডার সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাগমারা থানার ওসি তদন্ত মোঃ তৌহিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আব্দুস সাত্তারকে যারা গুরুত্বর জখম করেছে তাদেরই কয়েকজন আহত না হয়েও বাগমারা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভর্তি হয়েছিলো। আমরা বুঝতে পেরে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ২জনকে আটক করি। পরে একজন এজাহার ভুক্ত আসামি পালাতে গিয়ে এলাকার মানুষের হাতে ধরা পরে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে আর ২জন কে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। বাঁকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আনিছার (৫০) পিতা- মোহাম্মাদ আলী, আলাউদ্দিন (১৭)পিতা- আনিছার, আবুল কালাম আজাদ (৪২) পিতা- আহাদ আলী,জামাল (৩৪)। জাহাঙ্গীর আলম (৪২) পিতা- মৃত ফিরজ আলী, সর্ব সাং কোনাবাড়িয়া।
এজাহারী মামলা হিসেবে রেকর্ড করে আসামীদের গ্রেফতার করা হয় বলে বাগমারা থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
প্রথমে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে রহস্যজনক ভাবে তিনি আসামীদের গ্রেফতার করার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি একটু অসুস্থ আপনারা ভাগনদি তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করুন।
এ ব্যাপারে ভাগনদি তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বলেন, আমার জানামতে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পরে স্থানিয় সাংবাদিকরা বাগমারা থানায় গিয়ে জানতে পারেন, ঐ ৫জন আসামীকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
তবে পরবর্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার চাপের মুখে আসামীদের নাম ঠিকানা দিতে বাধ্য হলেও আসামীদের ছবি দেয়নি পুলিশ।